পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

డి 4 শ্ৰীকৃষ্ণসংহিতা । বিভিন্নাংশগত লীলা কৃষ্ণস্য পরমাত্মনঃ। জীবানাং বদ্ধভূতানাং সম্বন্ধে বিদ্যতে কিল ॥ ৩২ ৷ চিদ্বিলাসরতা যেত্ব চিচ্ছক্তিপালিতাঃ সদা । ন তেষামাত্মযোগেন ব্রহ্মজ্ঞানেন বা ফলং || ৩৩ ৷ মায়া তু জড়যোনিত্বাৎ চিদ্ধৰ্ম্মপরিবর্ভিনী । আবরণত্মিক শক্তিরীশস্য পরিচারিকা ॥ ৩৪ ৷ হৃদয়ে উক্ত ঈশভক্তি ব্যতীত আর উচ্চ ভাব নাই ? অবশু আছে, বিভিন্নাংশগত শ্ৰীকৃষ্ণলীলা যেমন বৈকুণ্ঠে সিদ্ধজীবদিগের সহিত নিত্যরূপে বর্তমান, তদ্রুপ বদ্ধজীবসম্বন্ধেও শ্রীকৃষ্ণলীলা অবশু বিদ্যমান আছে। ৩২ । যাহারা জীবশক্তিগত লাদিনীর ক্ষুদানন্দকে যথেষ্ট মনে না করিয়া এবং নিৰ্ব্বিশেষাধির্ভাব ব্রহ্মকে অসম্পূর্ণ জানিয়। চিৎ প্রভাবগত পরাশক্তির সহিত কৃষ্ণলীলাকে উপাদেয় বোধ করেন, এবং তাহাতে রত হন, তাহারাই উচ্চানন্দের অধিকারী এবং চিচ্ছক্তিপালিত ভগবদাস ;-আত্মগোগ বা ব্ৰহ্মজ্ঞানে তাহাদের কিছু ফল নাই। এস্থলে আত্মযোগ শব্দে জীবশক্তিগত ঈশভক্তিকেই বুঝিতে হইবে। ব্ৰহ্মজ্ঞান শব্দে এই অধ্যায়ের নবম শ্লোকোক্ত ব্ৰহ্মজ্ঞান বুঝায়। অতএব আত্মযোগ ও ব্রহ্মজ্ঞানী সকল সৌভাগ্য উদয় হইলে "ঘিলাসরত হয়েন । ৩৩। জাবশক্তির বিচার সমাপ্ত করির এক্ষণে মায়াশক্তির বিচার করিতেছেন। মায়াগত সন্ধিনী, সম্বিং ও লাদিনী ভাব নিচয়ের ব্যাখ্যা হইতেছে । মায়াপ্রভাবগত পরাশক্তি হইতেই সমস্ত জড়ের উৎপত্তি, অতএব মায়াই চিদ্ধৰ্ম্মের পরিবর্তৃকারিণী, উহ। আবরণাত্মিক অর্থাৎ মোহ জননী এবং জীবশক্তিগত পরমাত্মার পরিচারিকা। ৩৪ । মায়াধৰ্ম্ম বিচার করিলে দেখা যায় যে, স্বষ্টির মধ্যে উহাই অধমতত্ত্ব, যেহেতু জীবসম্বন্ধে সমস্ত অমঙ্গলই মুয়োজনিত । মায়া না থাকিলে জীবের ভগবদ্বিমুখতারূপ অধঃপতন ঘটিত না। অতএব !