পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবমোহধ্যায়ঃ । * 8:ఫ বয়ন্ত সংশয়ং ত্যক্ত পশু্যামস্তত্বমুত্তমং। বৃন্দাবনান্তরে রম্যে শ্ৰীকৃষ্ণরূপসোঁভগং ॥ ৬ ॥ নরভাবস্বরূপোয়ং চিত্তত্ত্বপ্রতিপোষকঃ । স্নিগ্ধশ্যামাত্মকোবর্ণঃ সৰ্ব্বানন্দবিবৰ্দ্ধকঃ ॥ ৭ ॥ পরমাত্মার নিত্যভেদমাত্র স্বীকার করিয়া বিশেষগত বৈচিত্র্যের অধিকতর উপলব্ধি করিতে পারিতাম না । কিন্তু সংশয়রূপ দুষ্ট ভাবকে একেবারে বিসর্জন দেওয়ায় আমরা আশ্রয়তত্ত্বের স্বরূপসৌন্দর্য্যের সম্পূর্ণ দর্শন পাইলাম। ৬। সমাধিদৃষ্ট স্বরূপ-সৌন্দৰ্য্য ব্যাখ্যা করিতেছেন। সমস্ত চিত্তত্ত্বপ্রতিপোষক ভগবৎসৌন্দৰ্য্যটী নরভাবস্বরূপ। (এস্থলে দ্বিতীম অধ্যায়ের ১৭ ও ১৮ শ্লোক বিচার করুন।) ভগবৎস্বরূপে শক্তি ও করণের ভিন্নতা নাই তথাপি চিৎপ্রভাবগত সন্ধিনী, বিশেষ ধৰ্ম্মের সাহায্যে, করণ সকলকে এরূপ উপযুক্ত স্থানগত করিয়াছে যে, তাহাতে একটা অপূৰ্ব্ব শোভা উৎপন্ন হইয়াছে। সমস্ত চিদচিজগতে সে শোভার তুলন। নাই । ভগবত্তত্ত্বে দেশ ও কালের প্রভূত না থাকায় ভগবৎস্বরূপের অণুত্ব বা বৃহত্ত্ব দ্বারা কিছু মাহাত্ম্য স্থাপিত হয় না বরং প্রকৃতির অতীত ধৰ্ম্মরূপ মধ্যমাকারের সৰ্ব্বত্র সৰ্ব্বদা পূর্ণস্বরূপ কোন চমৎকার ভাব দৃষ্ট হয়। অতএব আমরা সমাধিযোগে সমস্ত সৌন্দর্য্যের আধারস্বরূপ ভগবানের কলেশ্বরসত্ত। দর্শন করিতেছি । ভগবদ্ধপসত্তা আর ও মধুর। সমাধিচক্ষু যত গাঢ়রূপে রূপসত্বায় নিযুক্ত হয়, ততই কোন অনিৰ্ব্বচনীয় স্নিগ্ধ শুামবর্ণ তাহাতে লক্ষিত হয়। বোধ হয় ঐ চিন্ময়রূপের প্রতিফলনরূপ মায়িক ইন্দ্ৰনীলমণি ময়িক চক্ষুর শীতলতা সম্পন্ন করে অথবা মায়িক নবজলধরগণ উত্তাপপীড়িত মায়িক চক্ষুর আনন্দ বৰ্দ্ধন করে । ৭ । সন্ধিনী, সম্বিত, হলাদিনীরূপ ত্রিতত্বের কোন অপূৰ্ব্ব ভঙ্গিমা অখণ্ডৰূপে ভগবৎসৌন্দর্য্যে ত্রিভঙ্গরূপে ন্যস্ত রহিয়াছে। চিজ্জগতের অত্যন্ত প্রফুল্লতাযুক্ত নয়নদ্বয় ঐ স্বরূপের শোভা বিস্তার করিতেছে। বোধ হয় জড় জগতে ঐ চক্ষুদ্বয়ের প্রতিফলনরূপ কমলের অবস্থান। ঐ স্বরূপের শিরোভাগে কোন অপূৰ্ব্ব