পাতা:শ্রীকৃষ্ণসংহিতা.pdf/২১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। *〉う জ্ঞান যোগীগণ অপেক্ষ পূর্বোক্ত সমন্বয়যোগী শ্রেষ্ঠ ও পূজনীয়। - - এই চমৎকার ভক্তিযোগের তিনটী অবস্থা অর্থাৎ সাধন, ভাব ও প্রেম | জীবাত্মা, বদ্ধাবস্থায় স্বরূপ ভ্রম বশতঃ অহঙ্কারস্বরূপ স্বীকার করত, জড় শরীরে অহংবোধ করিতেছেন। আত্মার স্বধৰ্ম্ম নে প্রীতি তাহাও এই অবস্থায় বিকৃতরূপে বিষয়প্রীতি হইয়া উঠিয়াছে | এরূপ অবস্থায় শুদ্ধ স্বধৰ্ম্মপ্রাপ্তির জন্য প্রত্যগ গতির চেষ্টা করা আবশ্বক। অহঙ্কারাত্মক স্বরূপ অবলম্বন করত, স্বধৰ্ম্ম, মনোবৃত্তি দ্বারা ইন্দ্রিয়দ্বার আশ্রয় পূর্বক ভূত ও তন্মাত্ৰ সকলে সুখ দুঃখ উপলব্ধি করিতেছে। এই বিময়রাগের নাম আত্মবৃত্তির পরাগস্রোত। অর্থাৎ অন্তন্নি ঠ ধৰ্ম্ম, অন্যায় রূপে বহিঃস্রোত প্রাপ্ত হইয়াছে। বহির্বিময় হইতে ঐ স্রোতের পুনরাবৃত্তির নাম অন্তঃস্রোত বা প্রত্যগস্রোত বলিতে হইবে । যে উপায়ের দ্বারা তাহ সিদ্ধ হয় তাহার নাম সাধনভক্তি। আত্মবৃত্তি বিকৃতশ্রোত প্রাপ্ত হইয়। ইন্দ্রিয়-যন্ত্রাবলম্বনপূর্বক বিষয়াবিষ্ট হইতেছে। রসনার দ্বারা রসে, নাসিকার দ্বারা গন্ধে, চক্ষের দ্বারা রূপে, কর্ণের দ্বারা শব্দে ও ত্বকের দ্বারা স্পর্শে নিযুক্ত হইয়া বিকৃতবৃত্তি, বিষয়াবদ্ধ হইতেছে। স্রোতট এত ৱলবান যে, তাহী রোধ করা মনোবৃত্তির সাধ্য নয় । ঐ স্রোতনিবৃত্তির উপায় নিম্নোক্ত ভগবদগীতার শ্লোকে নির্দিষ্ট হইয়াছে। *