পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ১৫ ) ভজন বা দুঃসঙ্গ-স্পৃহা পরিত্যাগ করিয়া সৎসঙ্গে কৃষ্ণামুশীলনই জনসঙ্গ’ত্যাগ ; তাদৃশ দুর্জন-সঙ্গবিহীন নিরপরাধ ভজনেই অপ্রাকৃত রসের উদয় হয়,—ইহাই ঠাকুরের শিক্ষণ । (৬) জড়রস-ভোগ-চেষ্টা পরিত্যাগ করিয়া সম্বন্ধজ্ঞানের সহিত অভি৮ ধেয়কুশীলনে ভক্ত অদ্বয়জ্ঞানের সেবা-লাভ ফলে সৰ্ব্বত্র সমদর্শন হন ।. (৭) কৃষ্ণবিস্মৃতি-জনিত খেদ দূর হইলে জীব-শ্ৰীকৃষ্ণের হলাদিনীশক্তির, কৃপায় সেবা-মুখ-লাভে মুখী হন,—ঠাকুর এই কথা কীৰ্ত্তন করিয়া বহুজীবের মনস্তাপ দূর করিয়াছেন । (৮) কৃষ্ণতত্ত্ববসোদয়ে জীব শ্রীকৃষ্ণের হলদিনীশক্তির কৃপায় কৃষ্ণসেবায়, আমোদিত হন । এবং (৯) দ্বিতীয়াভিনিবেশজনিত ভয় ও ভেদজনিত হিংসার্ধেশুস্ত হইয়। সৰ্ব্বত্র কৃষ্ণমূৰ্ত্তিহেতু কৃষ্ণমাধুৰ্য্যমৰ্য্যাদায় নিত্য অবস্থিত হইলেই জীবেরু যে চরম-মঙ্গল-লাভ হয়, তাহা ঠাকুর-মহাশয় আচার ও প্রচার দ্বার} প্রদর্শন করিয়াছেন । অকৃতদ্রোঙ্গ—এই নয় প্রকার দয়া ব্যতীত অবাস্তর উদ্দেশ্যে তিনি, কোনও কালে জগৎকে ভক্তির বিপথে লইয়। যান নাই। ঠাকুর মহাশয়ের জীবনে নানা ঘটনায় তাহার সদগুণাবলীর প্রকৃষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। ভাগবত-কথিত ত্ৰিদণ্ডি-ভিক্ষুর স্তায় তাহার ভঞ্জন-চেষ্টায় বহু পাষও বৃথা বাধা ও উদ্বেগ প্রদান করিলেও তিনি কখনও কাহারও উদ্বগ দেওয়া বা দ্রোহাচরণ করা দুরে থাকুক, জীবের নিত্য স্বকৃতির জন্ত নিয়তই চেষ্টান্বিত ছিলেন । পরলোকগত ঘোষ—র্তাহার প্রতি, প্রচুর বিদ্বেষফলে পুরী-সহরে যখন কঠিন রোগাক্রাস্ত হইয়া মুমূৰু অবস্থায় স্বীয় আসন্নমৃত্যুর প্রতীক্ষা করিতেছিলেন, তখন ঠাকুর মহাশয় অত্যাশ্চৰ্য্য ও অপ্রত্যাশিত-ভাবে স্বীয় জন-স্থল হইতে বহুদূরবর্তী ঐ