পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈবধৰ্ম্ম [ নবম ט\ט\ל বিষ্ণুমায়া নিগুণ নগেন ; তবে কিরূপে তুমি তোমার বিষ্ণুমায়াকে আমার মা’র সহিত এক বল ? এই সব কথায় বৈষ্ণবদের গোড়ামি দেখিয়া আমাদের ভাল লাগে না । অ। ভাই দিগম্বর, এখনই রাগ করিও না ; তুমি এতদিন পরে আমাকে দেখিতে আসিয়াছ, আমি তোমার সন্তোষ করিতে ইচ্ছা করি । “বিষ্ণুমায়া’ বলিলে কি ক্ষুদ্রত হয় ? ভগবান বিষ্ণু পরমচৈতন্তস্বরূপ একমাত্র সৰ্ব্বেশ্বর—সকলেই তাহার শক্তি ৷ ‘শক্তি’ বলিলে কোন বস্তৃ’ হয় না ; শক্তি’—“বস্তু’র ধৰ্ম্ম ; শক্তিকে সকলের মূল বলিলে নিতান্ত তত্ত্ববিরুদ্ধ হয় । ‘শক্তি’—“বস্তু’ হইতে পৃথক্ থাকিতে পারে না ; কোন চৈতন্তস্বরূপ বস্তু আগে স্বীকার করা চাই। বেদাস্তভাষ্য বলেন,—“শক্তিশক্তিমতোরভেদঃ’ অর্থাৎ শক্তি পৃথক বস্তু নয়, শক্তিমান পুরুষ এক বস্তু, শক্তি র্তাহার ইচ্ছাধীন গুণ বা ধৰ্ম্ম । যতক্ষণ শুদ্ধচৈতন্য আশ্রয় করিয়া শক্তি আপনার কার্য্যের পরিচয় দেন, ততক্ষণই সেই শক্তিকে শক্তিমান বস্তু হইতে অভেদ মনে করিয়া চৈতষ্ঠরূপিণী, ইচ্ছাময়ী ও ত্রিগুণাতীত বলিলে ভ্রম হয় না । ইচ্ছা” ও “চৈতন্ত’-পুরুষাশ্রিত ; শক্তিতে ইচ্ছা থাকিতে পারে না—পুরুষেব ইচ্ছায় শক্তি কাৰ্য্য করে । তোমার চলচ্ছক্তি আছে, তোমার ইচ্ছা হইলে সেই শক্তির কার্য্য হয় । ‘শক্তি চলিতেছে’ বলিলে কেবল শক্তিমানের চলাই বুঝায় ; শব্দ-ব্যবহার কেবল রূপক । ভগবানের একই শক্তি ; চিংকার্য্যে তিনি চিচ্ছক্তি, অচিৎ বা জড়কাৰ্য্যে তিনি জড়শক্তি বা মায়া। বেদ বলেন, ( শ্বেঃ উঃ ৬৮)— *পরাস্তশক্তিবিবিধৈব শ্রীয়তে” । (১) ত্ৰিগুণধারিণী শক্তি জড়শক্তি ; ব্ৰহ্মাও-স্বজন ও ব্রহ্মাও-নাশন—সেই শক্তিরই কাৰ্য্য। এই শক্তিকে পুরাণ ও তন্ত্রে ‘বিষ্ণুমায়া’ ‘মহামায়া”, (১) এই পরব্রহ্ম-ভগবানের পরাশক্তি বেদে নানাপ্রকার শোনা যায়।