পাতা:শ্রীজৈবধর্ম্ম.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জৈবধৰ্ম্ম , [ প্রথম ૨ শ্ৰীপ্রেমদাস বাবাজী সৰ্ব্বশাস্ত্রে পণ্ডিত ইয়া ও শ্রীনন্দগ্রামের অভিন্নতত্ত্ববোধে শ্ৰীগোদ্রমবনকে একাস্ত মনে আশ্রয় করিয়াছিলেন । প্রত্যহ দুষ্ট লক্ষ হরিনাম এবং সৰ্ব্ববৈষ্ণব-উদ্দেশে শত শত দণ্ডবৎ ও গোপগৃহে মাধুকরী দ্বারা জীবননিৰ্ব্বাহ, এই তাহার জীবনের নিয়ম ১ষ্টয়া উঠিয়াছিল। যে সমযে তিনি ঐ কার্য্যসকল হইতে বিশ্রাম করিতেন তখন কোন প্রকার গ্রাম্যকথা না কহিয়া ভগবৎপার্ষদ প্রধান শ্রীজগদানন্দের ‘প্রেমবিবৰ্ত্ত’ সজলনয়নে পাঠ করিতেন । ঐ কালে নিকটস্থ কুঞ্জবাসিগণ আসিয়া ভক্তিসহকারে তাহার পাঠ শ্রবণ করিতেন । করিবেন না কেন, যেহেতু ‘প্রেমবিবৰ্ত্ত গ্রন্থ সমস্ত রসতৰে পরিপূর্ণ ; আবার বাবাজী মহাশয়ের মধুস্ৰাবী স্বর শ্রবণ করিলে সমস্ত ভক্তবৃন্দের হৃদয় হইতে বিষয়-বিষানল বিদূরিত হইত। একদা অপরাহ্লে নামসংখ্যা সম্পূর্ণ করিয়া পরমহংস বাবাজী মহাশয় শ্ৰীমাধবীমালতী-লতামওপে উপবেশনপূৰ্ব্বক ‘শ্ৰীপ্রেমবিবর্ত পাঠ করিতে করিতে ভাবসমুদ্রে মগ্ন হইতেছেন এমত সময় একটা চতুর্থাশ্রমী তাপস আসিয় তাহার চরণে দণ্ডবৎপ্রণাম করিয়া অনেকক্ষণ পড়িয়া রহিলেন । বাবাজী মহাশয় প্রথমে ভাবানন্দে নিমগ্ন ছিলেন, কিন্তু অল্পক্ষণ মধ্যেই তাহার বাহন্দু,ত্তি হইলে সাষ্টাঙ্গপতিত সন্ন্যাসী মহাত্মাকে দর্শন করিয়া আপনাকে তৃণাধিক নীচজ্ঞানে সন্ন্যাসীর সম্মুখে পড়িয়া ‘হা চৈতন্ত ! হা নিত্যানন্দ ! এই অধমকে কৃপা করা বলিয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন। ক্রমশঃ সন্ন্যাসী ঠাকুরকে সম্ভাষণপূর্বক কহিলেন “প্রভো ! আমি অতিশয় চীন ও দীন, আমাকে আপনি কেন বিড়ম্বন করিতেছেন”। সন্ন্যাসী তখন বাবাজী মহাশয়ের পদধূলী লইয়া উপবিষ্ট হইলেন। বাবাজী মহাশয়ও তাহাকে কলার বল্কলাসন দিয়া এক পাশ্বে উপবিষ্ট হইয়। প্রেমগদগদ বাক্যে কহিলেন, প্রভো ! এ দীনব্যক্তি আপনার কি