পাতা:শ্রীনরোত্তম চরিত - শিশিরকুমার ঘোষ.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s রাজা চাদরায় ৷ ৷ ” 。 一三藩霍-- এখন চাঁদ রায়ের কথা বলিব। রাঘবেন্দ্র ব্রায়ু, ব্ৰাহ্মণ জমিদার, ...বাড়ী। গৌড়ের নিকট । চৌরাশী হাজার টাকার জমিদারী রাখেন । → তাহার দুই পুত্র, সন্তোষ রায় ও চাঁদ রায়। চাঁদ রায় বীরপুরুষ হইয়া উঠিলেন। শিবাজী যেরূপ ক্ৰমে বিজয়া নগর অধিকার করেন, তিনিও সেইরূপ ক্ৰমে ক্ৰমে গৌড়রাজ্য ধ্বংস করিয়া ফেলিলেন । তাছার পর্ক সহস্ৰ অশ্বারোহী। আর বহুতর পায়দল সৈন্য ছিল । তিনি শক্তি-মন্ত্র 影》 উপাসক, মদ্যপায়ী, সুতরাং যথেচ্ছাচারী। দিবানিশি যুদ্ধে বিত্ৰত । হইয়া, মদ্যপান করিয়া, আর নানাবিধ নৃশংস ব্যাপারে লিপ্ত থাকিয়া চাঁদ ; | ^ রায় পরিশেষে বায়ুগ্ৰস্ত বা ভূতগ্ৰস্ত হইলেন: / পিতা রাঘবেন্দ্র তখন নানা ঔষধ প্রয়োগ, শান্তি, স্বস্ত্যয়ন প্রভৃতি করিলেন ! কিন্তু পুত্রের বায়ুরোগ ক্ৰমে বাড়িতে লাগিল। কোন একজন ভাল লোক পরামর্শ দিলেন যে, ঠাকুর মহাশয়কে আনিলে রোগ ( ভাল হইবে। রাঘবেন্দ্রের অবশ্য ঠাকুর মহাশয়েন্ত্ৰ প্ৰতি ভক্তিমাত্র নাই। তবে পুত্রের রোগ, কাজেই ভাবিলেন যে, যদি ঠাকুর মহাশয়ের • { কোন দৈবশক্তি থাকে, তবে ভাল হইতেও পারে। ইহাই ভাবিয়া, . রাঘবেন্দ্র, একখানি পত্র লিখিয়া, রাজা কৃষ্ণানন্দের নিকট এই অনুরোধ করিলেন, যেন তিনি অনুগ্ৰহ করিয়া তাহার পুত্র নরোত্তমকে পাঠাইয়া দেন। রাজা কৃষ্ণানন্দ পত্ৰ পাইয়া নরোত্তমের হাতে দিলেন । ঠাকুর মহাশয় বলিলেন, ‘এসব পত্র আমাকে শুনাইম্বা কেন দুঃখ দেন? আমার রোগ ভাল করিবার ক্ষমতা নাই।” digitized at BRCIndia.com