उा–िीव्ला শ্ৰীরপাদিগোস্বামিপাদগণ যে সম্প্রদায়ের আচাৰ্য্য, সে সম্প্রদায়ের উৎকৃষ্টতা স্বতঃসিদ্ধা। ব্ৰজেন্দ্ৰনন্দন স্বয়ং ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ এই গৌড়ীয়-বৈষ্ণব-সম্প্রদায়ের স্মরণীয়, ব্ৰজবধুবৰ্গকল্পিতাও উপাসনাই এই সম্প্রদায়ের অনুসরণীয়। অমল ও শ্ৰীভাগবতশাস্ত্ৰই এই সম্প্রদায়ের প্রমাণ । “পূর্বকালে মহর্ষিগণ ব্ৰহ্মচৰ্য্যাদিব্রত-ধারণপূর্বক নিরন্তর অপৌরুষেয় বেদার্থের সমালোচনা করিতেন। সাত্ত্বিকাদি-গুণ-গত অধিকারতারতম্য বশতঃ তঁহাদিগের ব্রত ও সমালোচনার তারতম্যানুসারে শ্রুতিসমূহের যে অর্থগত তারতম্য হয়, সেই তারতমাই আৰ্য্যসমাজের সম্প্রদায়-ভেদের প্রধানতম কারণ । (কৈবল্য উঃ ১/২) “পৃথগাত্মানাং প্রেরিতারঞ্চ মত্ব জুষ্টস্ততন্তেনামৃতত্বমেতি (শ্বেতাশ্ব উঃ ১৬ ) “বিজ্ঞায় প্রজ্ঞাংকুৰ্ব্বত (বৃহ উ ৪।৪।২-) যমেবৈষ বৃণুতে তেন লভ্যস্তস্তৈাষ আত্মা বৃণুতে তনুং স্বাম (कर्ट ठ २।२c) বিজ্ঞানঘান আনন্দঘন সচ্চিদানন্দৈকরসে ভক্তিযোগে তিষ্ঠতি (গোপালোত্তরতাপনী উ ৩৯) ভক্তিরেবৈনিং নয়তি ভক্তিরেবৈনিং দর্শয়তি ভক্তিবশঃ পুরুষে ভক্তিত্ত্বেৰ ভূয়সী (ভাগবতসন্দর্ভ প্রমাণিতশ্রুতি) ইত্যাদি উপনিষৎবাক্য সমূহ হইতে-ভক্তিরূপ জ্ঞানবিশেষই যে শ্ৰীভগবৎসাক্ষাৎকাররূপ পরমপুরুষার্থের সাধন, তাহা সুস্পষ্টরূপে অবগত হওয়া যায়। অতএব গৌড়ীয়বৈষ্ণবসম্প্রদায়ের ভক্তিতত্ত্ব যে বৈদিক ইহা সকববাদিসম্মত । (৩) পরমলক্ষ্মীরূপ ব্ৰজবধুসমূহ আনন্দশক্তিরই বিলাস-বিগ্ৰহ। তাহারা শ্ৰীগোলোকীয় প্রকাশবিশেষ শ্ৰীবৃন্দাবনে প্ৰকটকালে যাদৃশ মধুররসের অভিনয় বা অনুশীলন করেন তাহাঁই ব্ৰজবধুবৰ্গকল্পিতা রাগাত্মিক উপাসনা। (8) অমল-কৈতবরহিত। “আরাধ্যে ভগবান ব্ৰজেশতনয়স্তদ্ধাম বৃন্দাবনম, রম্যা কাচিদুপাসনা ব্ৰজবধুবৰ্গেন যা কল্পিতা। শাস্ত্ৰং ভাগবতং প্রমাণমমলং প্রেমা পুমর্থে মহান, OOuDTBDDDSsLYDBD BBBDS SDBLBBD DDS KD ( ৫ ) সত্ত্ব রজঃ ও তম: এই তিনটি প্রকৃতির গুণ । উক্ত প্রাকৃতিক গুণানুসারে বদ্ধজীবের মধ্যে পরস্পরের যে পার্থক্য পরিদৃষ্ট হয়, তাহ সহজে অবগতির জন্য নিয়ে সাত্ত্বিক, রাজস ও তামস ব্যক্তির মনোভাব প্ৰদৰ্শিত হইল । “আস্তিক্য ( শাস্ত্ৰ প্ৰতিপাদ্য পরলোকদিবিষয়ে যথার্থ জ্ঞান") প্রবিভাজ্যভোজন ( ভোজ্যভোজ্য বিচারপূর্বক ভোজন অথবা পোষ্যবৰ্গকে বিভাগ করিয়া ভোজন) অক্রোধ, পরের হিতজনক সত্যবচন, মেধা, বুদ্ধি (শাস্ত্ৰজ্ঞান) ধূতি ( কামক্রোধাদির বশীভুত না হওয়া ) ক্ষমা, জ্ঞান (আত্ম-জ্ঞান ) নিদািভতা, অনিন্দিত কৰ্ম্ম, অম্পূহত্ব, বিনয় ও ধৰ্ম্ম, এইগুলি সাত্ত্বিক ব্যক্তির মনের লক্ষণ । “ক্রোধ, পরাধীনতা, কল্পনা করিয়া নিজকে দুঃখী মনে করা । তীব্ৰবিষয়সুখেচ্ছা, দম্ভ, কামুকতা, মিথ্যাকথন, অধীরতা, অহঙ্কার, ঐশ্বৰ্য্যাদিতে অভিমানিতা, বিষয়ের প্রাপ্তিতে অতিশয় আনন্দ, অধিক পৰ্যটন। রজোগুণযুক্ত মনের এই সকল গুণ ।
