পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v98 শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর W-ar"Why? Wn i'r ""ی যাহারা পাণিগ্রহণবিধ্যানুসারে পরিণীত হয়েন এবং পতির আজ্ঞানুবৰ্ত্তিনী ও পাতিব্ৰত্যধৰ্ম্ম হইতে অবিচলিত থাকেন, তাহাদিগকেই রসশাস্ত্ৰে স্বকীয়া বলা হয় । S ASAA S SAAAAAA A AAALAAA AA AALL AA LMLS S Sq S0ALMLALALA S qqSSSS SS SS “রাগেণৈবাপিতাত্মানো লোকযুগানপেক্ষিণ t ধৰ্ম্মেণাস্বীকৃত যাস্তু পরকীয়া ভবান্তি তাঃ ৷” আর র্যাহারা পাণিগ্রহণধৰ্ম্মানুসারে পরিণীত নহেন এবং ইহলোকপরলোক-নিরপেক্ষ রাগের প্রেরণায় আত্মসমৰ্পণ করেন, তাহারাই পরকীয়া বলিয়া উক্ত হয়েন। এই পরকীয়ভােব নিয়ত বৰ্দ্ধনশীল বলিয়া ইহার অবধি निt6भ कब्र सभि ना । ইহা কেবল শুদ্ধপ্ৰেমরসপ্রবীণ ব্ৰজবধূগণেই দৃষ্ট হইয়া থাকে। ব্ৰজবধূগণের মধ্যে আবার একমাত্ৰ শ্ৰীরাধাতেই এই ভাব সীমান্ত প্ৰাপ্ত হইয়াছে। ব্ৰজবধূগণ পরকীয়ভাবে শ্ৰীকৃষ্ণকে ভজন করিয়া থাকেন এবং শ্ৰীকৃষ্ণও তাহাদিগকে তদ্ভাবেই অঙ্গীকার করেন। উহা তঁহাদিগের স্বাভাবিক দাম্পত্যেরই আবরক ভাববিশেষ। উহা দাম্পত্য হইতে পৃথক নহে, দাম্পত্যেরই পরিপাকবিশেষ । “রাগেণোলজযয়ন ধৰ্ম্মং পরকীয়াবলার্থিনা। তদীয়প্ৰেমসর্বস্বং বুধৈরুপপতিঃ স্মৃত:৷” কিন্তু, পরকীয়া রমণীর প্রতি আসক্তিজনক রাগের প্রেরণায় যিনি পাণিগ্ৰহণধৰ্ম্ম উল্লঙ্ঘনপূর্বক ঐ পরকীয়া রমণীর প্রেমের সর্বস্ব অর্থাৎ পাত্র হয়েন, রসজ্ঞগণ র্তাহাকে উপপতি বলিয়া থাকেন । উপপতিবিষয়ক মধুর রস আবার রসাল্লাস বলিয়াই গণ্য হইয়া থাকে। অথচ ব্রজসুন্দরীগণের সহিত শ্ৰীকৃষ্ণের পরকীয়ভাবেই মধুর রসের পরমোৎকর্ষ অঙ্গীকৃত হয়। অতএব ঔপপত্যভাবের যে লঘুত্ব, তাহ, প্ৰাকৃতনায়কপর, শ্ৰীকৃষ্ণপর নহে। ঔপপত্যভাবের লঘুত্ব যে শ্ৰীকৃষ্ণপর নহে, এই প্ৰকার সিদ্ধান্ত করিবার পক্ষে বিশেষ বলও আছে। যিনি সর্বাবতারের মূল, তাহাতে কি কখন লঘুত্ব সম্ভব হয় ? বিশেষতঃ তাদৃশ, শ্ৰীকৃষ্ণে লঘুত্ব আরোপিত হইলে, রাসনিৰ্যাস আস্বাদনার্থ শ্ৰীভগবানের অবতার মিথ্যা হটয়া যায়। শ্ৰীকৃষ্ণ গোপীগণের নিত্যপতি এবং গোপীগণ শ্ৰীকৃষ্ণের নিত্যাকান্ত হইলেও, শ্ৰীকৃষ্ণে গোপীগণের ঔপপত্যভােব এবং গোপীগণে শ্ৰীকৃষ্ণের পরকীয়ভােব অসম্ভব নহে ; অঘটন ঘটনাপটীয়সী শ্ৰীকৃষ্ণের যোগমায়া অসম্ভবকেও সম্ভব করিতে পারেন।