পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৬৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VyS8 শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর “প্ৰেমধন বিনা ব্যর্থ দরিদ্র-জীবন । দাস করি বেতন মোর দেহ প্ৰেমধন \, রসান্তরাবেশে হৈল বিরহস্ফুরণ। উদ্বেগ বিষাদ দৈন্য করে। প্ৰলাপন ৷” এই পঞ্চ প্ৰাণ-মন ও বুদ্ধি এই সপ্তদশ-অবয়ববিশিষ্ট শরীরকে সূক্ষ্মশরীর বা লিঙ্গ শরীর বলে। যথা—“বুদ্ধিকৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়প্রাণপঞ্চকৈ মনসা ধিয়া। শরীরং সপ্তদশভিঃ সুন্মাং তল্লিঙ্গমুচ্যতে। পঞ্চদশী ১২৩ ৷ প্ৰাণময়, মনোময়, বিজ্ঞানময় এই কোষত্ৰয়ের সমবায়ই সূক্ষ্মশরীব । অবিদ্যাকে আনন্দময়-কোষ বা কারণ শরীর শরীর বলে। পূৰ্বোক্ত ত্ৰিবিধ শরীর বা পঞ্চকোষ সকলই মায়ার কাৰ্য্য। জীবের মায়াকাৰ্য্য-শরীবত্ৰয়ে আত্মবুদ্ধিবশতঃ বিষয়েন্দ্ৰিয়-সংস্পৰ্শজা যে ভোগ BDDD DDgDLDBDBD BBDSS SOg BBDBD BD BBBu D SDBDDD BDBD S ভূগবান শ্ৰীকৃষ্ণ গীতাশাস্ত্ৰে বলিয়াছে “যে হি সংস্পৰ্শজা ভোগা দুঃখযোনয় এবং তে। আদ্যন্তব্যুঃ কৌন্তেয় ন তেষু রামতে বুধ: ॥” ( ৫৷৷২২ । ) বিষয়েন্দ্ৰিয়ের সন্নিকৰ্ষবশতঃ যে ভোণু উৎপন্ন হয় উহা দুঃখের কারণ। ঐ ভোগসকল যাতায়াতশীল অতএব পণ্ডিত ব্যক্তি উহাতে আসক্ত চিন না । অজ্ঞ ব্যক্তিরা প্ৰকৃতির। কাৰ্য্য। জড়েগ্রিন্দ্ৰয়নিম্পাদ্য কৰ্ম্মসকলকে অজ্ঞতা নিবন্ধন স্বনিম্পাদ্যবোধে অভিমানবশতঃ দুঃখভোগ করিয়া থাকেন । এই জন্যই পার্থসারথি ভগবান হরি বলিয়াছেন “প্ৰকৃতে: ক্রিয়মাণানি গুণৈ: কৰ্ম্মাণি সৰ্ব্বশীঃ । অহঙ্কারবিমূঢ়াত্মা কৰ্ত্তাহমিতি মন্যতে" || ( ৩ ২৭ ) অতএব যখন পুরুষের দেহাদ্যাতিরিক্তি অজড় আত্মবিষয়ক অপরোক্ষ জ্ঞান জন্মে। তখনই তিনি প্ৰাকৃতিক দেহদৈহিক-ব্যাপারে। অভিমান-পরিত্যাগপূর্বক অর্থাৎ ( জড়-ইন্দ্ৰিয় জড়-বিষয় গ্ৰহণ করিতেছেঅজড় আত্মা এতদন্তিরিক্ত, আমি কখনও বিষয় গ্ৰহণ করি না—এইরূপ নিরাভিমান হইয়া ) কৃতাৰ্থ হইয়া থাকে। শ্ৰীভগবান ও অৰ্জ্জুনকে এইরূপ? উপদেশ প্রদান করিয়াছেন—“তত্ত্ববিত্ত, মহাবাহো গুণকৰ্ম্মবিভাগয়েঃ। গুণা গুণেষু বৰ্ত্তন্ত ইতি মত্বা ন সজতে” ৷৷ ৩২৮ । হে মহাবাহো ! গুণ-কৰ্ম্ম-বিভাগের তত্ত্ববিৎ ( অর্থাৎ ইন্দ্ৰিয়বর্গ ও তৎকৰ্ম্মসমূহ হইতে আত্মভেদজ্ঞ ব্যক্তি ) শ্রোত্ৰাদি-ইন্দ্ৰিয়সমূহ ইন্দ্ৰিয়াধিষ্ঠাতৃ-দেবতা-কর্তৃক প্রেরিত হইয়া শব্দাদি-বিষয়ে প্ৰবৰ্ত্তিত হয় এইরূপ অবগত হইয়া কৰ্ম্মে আসক্ত হন না। শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা-পাঠে অবগত হওয়া যায় যে দেহ, ইন্দ্ৰিয় ও বিষয় এই ত্ৰিবিধ জড়-বস্তু হইতে যতদিন আত্মবুদ্ধি নিবৃত্ত না হয় ততদিন আত্যন্তিক-ক্লেশ-ধ্বংসেৰ প্ৰতি দেহান্ততিরিক্ত সচ্চিদানন্দ আত্মার অপরোক্ষানুভূতি একান্ত অপেক্ষিত। সেই জন্যই করুণাময় শ্ৰীগৌরাঙ্গ মহাপ্ৰভু কৃষ্ণনাম-সঙ্কীৰ্ত্তন যে চিত্তদর্পণের মালিন্য অপসারিত করে প্রথম শ্লোকে তাহাই প্রদর্শন করিলেন। দেহান্ততিরিক্ত অজড় জীবাত্মসাক্ষাৎকারসহকৃত্যু-পরমাত্মসাক্ষাৎকারের একমাত্ৰ যোগ্যস্থান বিশুদ্ধচিত্ত । চিত্তশুদ্ধি-ব্যতীত কাহারও আত্মসাক্ষাৎকারের যোগ্যতা নাই। এই নিমিত্ত শ্রীতি ও স্মৃতিতে উক্ত