পাতা:শ্রীশ্রীগৌরসুন্দর - শ্যামলাল গোস্বামি.pdf/৬৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VYV) শ্ৰীশ্ৰীগৌরসুন্দর “দিবস না যায় ক্ষণে হৈল যুগ সম। বর্ষা মেঘ প্ৰায় অশ্রু বরিষে নয়ন ৷৷ গোবিন্দ-বিরহে শূন্য দেখি ত্ৰিভুবন। তুষানলে পোড়ে যেন না যায় জীবন ৷ হয় তদ্রুপ কৃষ্ণসঙ্কীৰ্ত্তনরূপ-ভক্তির উদয়ে সৰ্ব্ববিধ শুভরাপ কুমুদপুষ্প প্ৰস্ফুটিত হয়। ভক্তির শুভদাতৃত্ব গুণ-সম্বন্ধে শ্ৰীমদ্ভাগবতে এইরূপ উক্ত হইয়াছে “যস্যাস্তি ভক্তির্ভগবত্যাকিঞ্চন। সৰ্ব্বৈ গুণ্যৈস্তত্ৰ সমাসতে সুরাঃ ॥ হরাবভক্তস্ত কুতো মহাদগুণ । - মনোেবথোনাসতি ধাবতে বহিঃ”৷ এ. (ভা-৫।১৮।১২ ) যে ব্যক্তির ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ অকিঞ্চনা, (নিষ্কামা ) ভক্তি জন্মে, সৰ্ববিধ সদগুণের সহিত ব্ৰহ্মরুদ্রাদি দেবতাগণ তাহার শরীরে অবস্থান করেন । হরিভক্তিবিবর্জিত ব্যক্তির মনোরথ দ্বারা অসৎ-রাহ-বিষয়ে ধাবমানচিত্তে মহাদগুণ ( অমানিত্বাদি সদগুণাবলী ) কোথা হইতে আসিবে ? “শুভানি গ্ৰীণনং সৰ্ব্বজগতামনুরক্ত তাঁ। সাদগুণ্য সুখমিতাদিন্যাখ্যাতানি মনীষিভি: || (ভক্তিরাসা পূঃ ১৷৷১৮) সৰ্বজগতের প্রীতিবিধান, সৰ্ব্বজগৎকর্তৃক অনুরক্ততা, সদগুণ ও সুখ ইত্যাদিকে পণ্ডিতগণ শুভ বলিয়া থাকেন। মনুষ্য জন্ম লাভ করিবার পর হইতেই দেবতা, ঋষি, পিতৃলোক ও বিভিন্ন প্রাণিনিবহের নিকট ঋণী হইয়া থাকেন। কারণ নানা জন্মে নানাবিধ উপায়ে তাহারা আমাদের বহুবিধা হিতসাধন করিয়া থাকেন। যতকাল পৰ্য্যন্ত জীব ঐ সমস্ত DDBB DDBDB DDB BD D BDBBD BDBBDBBDS BDBB DBDBDDBDB DDBDBD অসম্ভব। শ্ৰীভগবান সব্বরূপ। প্রাকৃত প্রাকৃত সৰ্ব্বজগৎ তাহারই শক্তির বৈচিত্র। তঁহার প্রতিতে স্থাবর-জঙ্গমাত্মক সৰ্ব্বজগতের প্রীতি অবশ্যম্ভাবী । শ্ৰীকৃষ্ণ-গ্ৰীতিজনক নাম-সঙ্কীৰ্ত্তন সাধনভক্তির অন্যতম প্ৰধান-অঙ্গরূপে নির্দিষ্ট হওয়ায় উহা সৰ্ব্বজগতের প্রীতিবিধান ও সর্বজগতের চিত্তাকর্ষণ করিতে সমর্থ হন। বৃক্ষের মূলে জলসেচন করিলে তাঙ্গার স্কন্ধ, শাখাপল্লবাদি সকলই যেমন তৃপ্ত হয়-প্ৰাণকে উপহার প্রদান করিলে সৰ্বেন্দ্ৰিয় যেরূপ তৃপ্তিলাভ করে-তদ্রুপ অচ্যুত শ্ৰীকৃষ্ণের পূজাদ্বারা প্রাকৃতাপ্রাকৃত নিখিল-বস্তুর সন্তোষসাধন হইয়া থাকে। যথা তরোমুলনিষেচনেন তৃপ্যন্তি তৎস্কন্ধ-ভুজোপশাখাঃ। প্ৰাণোপহারাচ্চ যথেন্দ্ৰিয়াণাং তথৈব সৰ্বাহঁণমচুতেজ্যা | ( ভা, ৪৩১৷৷১৪) পদ্মপুরাণেও এইরূপ উপদিষ্ট হইয়াছে “যৌনাচিতে হারিস্তেন তপিতানি জগন্ত্যপি । রাজ্যন্তি জন্তব্য স্তত্র জঙ্গমাঃ স্থাবর অপি ॥” অর্থাৎ যিনি শ্ৰীহরিকে অৰ্চনা করেন, তিনি সৰ্বজগৎকে তৃপ্ত করেন, স্থাবর-জঙ্গমাত্মক সর্বপদার্থও তাহাতে অনুরক্ত হইয়া থাকে। শ্ৰীমদ্ভাগবতের একাদশস্কন্ধে যোগীন্দ্র করভাজন বলিয়াছেন “দেবধিভূতাপ্ত নৃণাং পিতৃণাং ন কিঙ্করো নায়মুণী চ রাজন। সৰ্ব্বাত্মনা যঃ শরণং শরণ্যং গতো