পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R0 6 প্ৰভুকর্তৃক তন্নিরপেক্ষ স্বতন্ত্র অধ্যয়নকারিগণের অর্থ-দূষণ প্ৰভু স্থানে পুথি চিন্তে নাহি যে-যে-জন। তাহারে সে প্ৰভু কদৰ্থেন অনুক্ষণ৷৷ ৯ ৷৷ স্বয়ং অধ্যাপনান্তে প্রভুর অধ্যাপনারম্ভ, চতুর্দিকে সতীর্থ ছাত্ৰগণের উপবেশন পড়িয়া বৈসেন প্ৰভু পুথি চিন্তাইতে । যার যত গণ লৈয়া বৈসে নানা-ভিতে ॥ ১০ ৷৷ এজন্য তঁহারা ‘শ্ৰীভক্তিসমাজ'-নামে বর্ণিত হইয়াছেন। বিশেষতঃ শক্তিমানের শক্তির আশ্ৰিত যাবতীয় ভক্তই নানাপ্রকারে ভজনীয় বস্তুর প্রতি সম্পাদনা করিয়া থাকেন ৷৷ ৩ ৷৷ ধড়ৈশ্বৰ্য্যপূর্ণ ভগবানের সেবায় জীবের চেতনময়ী বৃত্তি সৰ্বোৎকৃষ্টভাবে নিযুক্ত হইলে আর কোন ও অসুবিধা হয়। না । ভগবাদিতির-বিযয়ে লোভ উপস্থিত হইলে জীবাত্মা শ্ৰীশ্ৰষ্ট হন এবং চঞ্চল-মনের নানা প্রকার বিশৃঙ্খলতা আসিয়া জীবের বদ্ধ-দুর্দশা বৰ্দ্ধন করে। এজন্য ভগবদ্যাকর্ষণে আকৃষ্ট হইবার ধাসনায় গ্ৰন্থকার ভগবানের কৃপা প্রার্থনা করিতেছেন ॥৪৷৷ বিষ্ঠার বিলাস,--বুদ্ধিজীব প্ৰপঞ্চে অবিদ্যা-গ্ৰস্ত অর্থাৎ স্ব-স্বরূপ ও পার-স্বৰূপ-বিচারে অজ্ঞ হইয়াই জন্ম গ্ৰহণ করে। তাহার মধ্যে যে জ্ঞাতৃরূপ চিৎ-তত্ত্বের অংশবিশেষ বৰ্ত্তমান থাকে, তাহার অব্যক্ততা বই ‘অবিদ্যুৎ-অবস্থা” বা ‘অজ্ঞতা” । বাস্তবসত্যবস্তু-বিষয়ক জ্ঞানাভাব অপসারিত করিয়া চেতনের বিকাশিনী বা উন্মেষিণী বৃত্তিই 'বিদ্যা’-নামে প্ৰসিদ্ধা অর্থাৎ বিন্ধান বা বিজ্ঞা-ব্যক্তির নিকট স্বীয় চেতনের বৃত্তির উন্মেষণই পর-বিদ্যা-লাভ । অপরের চেতন-বৃত্তির উন্মেষণে লব্ধবিদ্য ব্যক্তির নানাপ্রকার সাহায্য ও ‘বিদ্যার বিলাস’-নামে কথিত। অবিদ্যা বা অজ্ঞানের আশ্রয়ে জীবের প্রাম্বি বা পিন্ধৰ্ত্ত উপস্থিত হয় ; উহা পর্যা-বিদ্যার বিপরীত বৃত্তি , খািশবৃত্তিবলে বদ্ধজীবীগণ ইন্দ্ৰিয়জ-জ্ঞানের সাহায্যে অভিজ্ঞজনের নিকট স্বীয় অজ্ঞতা প্ৰস্ফুটিত করাইয়া অধিরোহ-চেষ্টায় অগ্রসর হয়। শ্ৰীমন্মহাপ্ৰভু ও জগতের কল্যাণের জন্য তাদৃশী বিদ্যা-বিলাসলীলা প্ৰকট করাইয়া জীবগণকে অচিৎ অনুভূতি হইতে পরিাত্ৰাণ করিয়াছিলেন ৷৷ ৫ ৷৷ DBBDB BDSLSASEEDBD DDDBD S BEYzS - ਚਲਚਰੰਚੰ নিমাইকর্তৃক মুরারিগুপ্তের অর্থ-খণ্ডন ও তিরস্কারনা চিন্তে মুরারিগুপ্ত পুথি প্ৰভু স্থানে। অতএব প্ৰভু কিছু চালেন তাহানে ॥১১ ৷৷ শাস্ত্ৰবিচার-রত নিমাইর বেশ ও রূপ-বৰ্ণন যোগপট্ৰ-ছান্দে বস্ত্ৰ করিয়া বন্ধন। বৈসেন সভার মধ্যে করি।” বীরাসন ॥ ১২ ৷ চন্দনের শোভে উৰ্দ্ধ-তিলক সু-ভাতি । মুকুতা গঞ্জয়ে দিব্যদশনের জ্যোতিঃ ॥ ১৩ ৷৷ বিচারে— ভূঃ ভূবঃ ও স্বরূ, কাল-বিচারে—ভূত, বৰ্ত্তমান ও ভবিষ্যৎ ; পাত্ৰ-বিচারে-ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও রুদ্র; এবং দশ-শব্দে দিগৃবিচারে-পূৰ্ব্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, অগ্নি, বায়ু, ঈশান, নৈঋতি, উদ্ধ ও অধঃ। উদ্ধ, মধ্য ও অধঃ-এই ত্রিবিধ স্থানের দশদিকের বিচারে ‘ত্ৰিদশ’-শব্দ ; আবার ‘ত্রি ত্ৰিবিধ” অর্থে, পাত্ৰ-বিচারে ত্ৰয়ন্ত্রিংশং দেবতাই গৃহীত হয়। অজ্ঞারূঢ়ি-বৃত্তিতে ‘ত্ৰিদশ-পুত্ৰ-শব্দে স্বৰ্গরাজ্য এবং ‘ত্ৰিদশনাথ’- শব্দে শচীপতি ইন্দ্ৰকে বুঝায় ; আর পরম-মুখ্যা-বৃত্তিতে ভগবান শ্ৰীউপেন্দ্ৰকে বুঝায়। কেহ কেহ বলেন, দ্বাদশ আদিত্য, একাদশ রুদ্র, অষ্টবসু ও অশ্বিনীকুমারদ্বয়-সৰ্ব্ব-সাকিল্যে ত্রয়স্ট্রিংশং। ত্ৰিদশনাথ-শব্দে ইহাদিগকেই বুঝায়। আবার কেহ কেহ বলেন,-“এই তেত্ৰিশ দেবতা, প্ৰত্যেকেই কোটিসংখ্যকগণে অবস্থিত। বিদ্বাদরূঢ়ি-নাম্নী শব্দ বৃত্তিতে সমস্ত শব্দ—একমাত্র বিষ্ণুতেই পৰ্য্যবসিত। শিষ্যগণ-সাথ,—অধ্যাপক গঙ্গাদাসের শিষ্যগণ নুনাধিক প্রভুর অনুগত থাকায় তাহারা প্ৰধান-ছাত্র-জ্ঞানে নিমাইপণ্ডিতকে ও গুরুবুদ্ধি করিতেন ৷৷ ৭ ৷৷ পক্ষ, - একই বিষয়ের দুইটী পৃথগ ভাবশ্রিত ব্যাপারকে "পক্ষ' বলে। যেরূপ পক্ষদ্বীয়-সাহায্যে পক্ষীর গগন-মণ্ডলেউডয়ন-সামর্থ হয়, তদ্রুপ কোন ও একটী বিচার বা বিষয়ের সংশয় উপস্থিত হইলে পূৰ্ব্বপক্ষ বা প্রশ্ন, পরপক্ষ, বা সিদ্ধান্ত -এই উভয় পক্ষই বিচারিত হয়। পরপক্ষের সহিত সঙ্গতি অনিবাৰ্য্যভাবে সংশ্লিষ্ট । এক পক্ষ অপরকে ‘পরিপক্ষ’ বলেন অর্থাৎ অন্বয়-বিচারে ‘স্বপক্ষ’ বা ব্যতিরোক-বিচারে ‘পরপক্ষ’, কথিত হয়। পক্ষ-প্রতিপক্ষ,-বাদ-প্রতিবাদ, অনুকুল-প্রতি- { কুল প্রশ্নোত্তর, স্বপক্ষ-বিপক্ষ বা পুর্বপক্ষ-উত্তরপক্ষ ৷৷ ৮ ৷৷