পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৫৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ལས)བས་ཀྱི་མགམ་སri། গুপ্তে থাকেঁ মুঞি নন্দন-আচাৰ্য্যের ঘরে। ‘না আইলা’ বলি? তুমি করিব গোচরে ॥”৫৭৷৷ অদ্বৈতের সঙ্কল্প সৰ্ব্বান্তৰ্যামী মহাপ্রভুর হৃদয়গোচর এবং শ্ৰীবাসভবনে যাত্রাসবার হৃদয়ে বৈসে প্ৰভু বিশ্বম্ভর। অদ্বৈত-সঙ্কল্প চিত্তে হইল গোচর ॥৫৮৷৷ আচাৰ্য্যের আগমন জানিয়া আপনে । ঠাকুর পণ্ডিত-গৃহে চলিলা তখনে ॥৫৯৷৷ ভক্তগণেব প্ৰভুসহ মিলনপ্ৰায় যত চৈতন্যের নিজ ভক্তগণ । প্রভুর ইচ্ছায় সব মিলিলা তখন ॥৬০৷৷ প্ৰভুব আবিষ্টভাব বুঝিতে পাবিয়া সকলেব সশঙ্ক অবস্থান আবেশিত চিত্ত প্রভুর সবাই বুঝিয়া। সশঙ্কে আছেন সবে নীরব হইয়া ॥৬১৷৷ প্ৰভুব হুঙ্কাব পূর্বক বিষ্ণুখট্ৰাষ উপবেশন এবং ভাবাবেশে অদ্বৈতেৰ আগমন সংবাদ বিজ্ঞাপনহুঙ্কার করিয়া প্ৰভু ত্ৰিদশের রায়। উঠিয়া বসিলা প্ৰভু বিষ্ণুর খট্রায় ॥৬২৷৷ ‘নাড়া আইসে, নাড়া আইসে’-বলে বারে বারে। “নাড়া চাহে মোর ঠাকুরাল দেখিবারে ॥”৬৩৷৷ মহাপ্রভুর অবস্থা দর্শনে নিত্যানন্দা দিব সময়োচিত সেবা নিত্যানন্দ জানে সব প্রভুর ইঙ্গিত। বুঝিয়া মস্তকে ছত্র ধরিলা ত্বরিত ॥৬৪৷৷ অদ্বৈতের পুত্ৰ আচু্যতানন্দ সেই কালে বালক ছিলেন । আনুমানিক ১৪২৩ শকাব্দ আচু্যতানন্দেব প্ৰকটকাল ॥৪১৷৷ ত্ৰিদশেব বায়---( ত্রি-অধিক-ত্রিবাবৃত্ত— দশ পৰিমাণ অর্থাৎ তেত্রিশ-সংখ্যা-বিশিষ্ট, র্যাহাদিগেব মধ্যে দ্বাদশ আদিত্য, একাদশ রুদ্র, অষ্টবসু ও অশ্বিনীকুমাবদ্বয়—এই তেত্ৰিশটী দেবতা প্রধান, তাহারাই ত্ৰিদশ ; বায় রায়া বা রাঅ, বাজা ) তেত্ৰিশ কোটী দেবতাব ঈশ্বর, সেবা, সৰ্বৈশ্বরেশ্বর ॥ ৬২ ৷৷ অদ্বৈত-প্ৰভু শ্ৰীবাসেব কনিষ্ঠ ভ্ৰাতা শ্ৰী রামাইকে বলিলেন,--“তুমি মহাপ্ৰস্তুকে বলিবে যে, অদ্বৈত আসিলেন না, তাহাতে মহাপ্রভুর কিরূপ বিচার হয়, আমি দেখিতে ¢ቁፃ গদাধর বুঝি’ দেয় কাপুর ভাৰল। সৰ্ভু জনে করে সেবা যেন অনুকুল ॥৬৫৷৷ কেহো পড়ে স্তুতি, কেহো কোন সেবা করে। হেনই সময়ে আসি’ রামাই গোচরে ॥৬৬৷৷ অন্তৰ্যামী মহাপ্রভুর বামাইকে অদ্বৈতের বিষয় কথন-- নাহি কহিতেই প্ৰভু বলে রামাইরে। “মোরে পরীক্ষিতে নাড়া পাঠাইল তোয়ে৷”৬৭৷৷ ‘নাড়া আইসে’ বলি’ প্ৰভু মন্তক চুলায়। “জানিয়াও মোরে নাড়া চালয়ে সদায় ৷” ৬৮৷৷ এথাই রহিলা নন্দন আচাৰ্য্যের ঘয়ে। মোরে পরীক্ষিতে ‘নাড়া’ পাঠাইল তোরে ॥৬৯৷৷ অদ্বৈতকে আনব্যনাৰ্থ মহাপ্ৰভুর আদেশআন গিয়া শীঘ্ৰ তুমি হেথাই ভাহানে। প্ৰসন্ন শ্ৰীমুখে আমি ৰলিল আপনে ॥৭০৷৷ রামাই’ব অদ্বৈত-সমীপে গমন ও মহাপ্ৰভুর আদেশ বিজ্ঞাপনআনন্দে চলিলা পুনঃ রামাই পণ্ডিত । সকল অদ্বৈতস্থানে করিলা বিদিত ॥৭১৷৷ বামাইব মুখে প্ৰভুর আদেশ শুনিয়া অদ্বৈতেল সন্ত্রীক প্ৰভুসম্মুখে আগমন— শুনিয়া আনন্দে ভাসে অদ্বৈত আচাৰ্য্য। আইলা প্রভুর স্থানে সিদ্ধ হৈল কাৰ্য্য৷৷৭২৷৷ চাই। আমি নন্দনাচাৰ্য্যের ঘবে লুকাইয়া থাকিব, আর তুমি মহাপ্ৰভুকে গিয। ঐ রূপ বলিও ।” এই পরামর্শ অন্তৰ্যামী শ্ৰীগৌরাঙ্গ অবগত হইলেন এবং শ্ৰীবাসের বাড়ীতে তঁহাদের গৃহ-দেবতা নারায়ণের সিংহাসনোপরি বসিয়া “নাড়া আসিতেছে৷” বলিয়া পুনঃ পুনঃ চীৎকার করিতে লাগিলেন। প্ৰভু আরও বলিলেন,-“নাড়া” ( অদ্বৈতাচাৰ্য্য )। আমার অন্তৰ্য্যামিত্ব পরীক্ষা করিতে চায় । আমি তাহার কারচুপী বুঝিতে পারি। কিনা, তৰিয়ে তাহার হয়ত সন্দেহ আছে, অথবা আমাকে বহির্জগতে প্ৰকাশ করিবার জন্য কপটতা বিত্তার कब्रिभां८छ् ॥' ७७ |