পাতা:শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত - বৃন্দাবন দাস ঠাকুর .pdf/৬৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ኃ8b” লোক বলে,—“তখনই যে নিষেধ করিল। , 2है जझागौन आजि जब अङ्गिल।॥” ४०॥ যতেক পাষণ্ডী সব হাসে মনে মনে। “ভণ্ডের উচিত শান্তি কৈল নারায়ণে ॥” ৯০৷৷ করিতেছেন, তাহাতে দুঃসঙ্গ পরিত্যাগপূর্বক ভগবদুপ সনাবা তারতম্য বিচারকারী, ”কৃষ্ণের তটস্থাশক্তি জীবেব জন্যই স্বয়ংরূপ কৃষ্ণ অবতীর্ণ হইয়াছেন। জগদগুরু শ্ৰীনিত্যানন্দ এবং জগদগুরু ঠাকুর হরিদাস মহাপ্ৰভুব সাক্ষাৎ আজ্ঞা প্ৰাপ্ত হইয, জগদগুরুর প্রকাশবিশেষ হইয়া জগৎকে কৃষ্ণের ঔদাৰ্য্যময় অবতারের কথা জানাইতেছেন। * ঔদাৰ্য্যময় কৃষ্ণ মহামহোপদেশ করূপে সকল দুঃসঙ্গ পবিত্যাগ পূর্বক সর্বোত্তম বিচিত্র-বিলাস-সম্পন্ন পঞ্চবসাভিষিক্ত স্বয়ংরূপ বস্তুল উপাসনা শিক্ষা দিতেছেন। তোমাবা দুঃসঙ্গ পরিত্যাগ কবিয়া সেই সচিদানন্দ-বস্তুব সঙ্গলাভ করে এবং আপনাদিগকে তঁাহাব পঞ্চারসেব সে বোপকরণের অন্যতম জানিয়া সৰ্বকাল' তাহারই ভজন কবি। কামেব পূর্ণাঙ্গতা দাস্পত্যে অবস্থিত, তন্নান বাৎসলো, তন্ন্যুন সখ্যে, তন্ত্রণ দাস্যে ও তন্মান শাস্তে অবস্থিত। আল পরিত্যাজনীয় প্রাপঞ্চিক বিপবীত অনুভূতি-অনাচাবমধ্যে গণ্য। কৃষ্ণেব প্রকাশবিগ্রহের বিলাস-সমূহ কৃষ্ণ হইতে অভিন্ন হইলেও দ্বাদশ-বসময়-মুষ্টি কৃষ্ণই স্বয়ংরূপ, স্বয়ংগুণ, স্বয়ং পবিকরবৈশিষ্ট্য ও স্বয়ংলীলা । তঁাহাবই প্ৰকাশ৩ত্ত্ব শ্ৰীবলদেব-প্ৰকাশ রূপ, প্ৰকাশগুণ, প্ৰকাশপরিকরবৈশিষ্ট্য, প্ৰকাশলীলাময়। সুতরাং উহাদেব ভজনে কৃষ্ণভজনই হয়। তবে “যে যথা মাং প্ৰপদ্যন্তে” বিচাবে “তাংস্তথৈব ৬ জাম্যহং” স্বয়ংরূপ-কৃষ্ণেব উক্তিই বিচাৰ্য্য। কাহারও বিচাবে বাসুদেবাদি চতুৰ্বাহাত্মক কৃষ্ণ, কাহালও বিচাৰে সীতারামাদি কৃষ্ণ, কাহাব ও বিচারে রেবতীরমণাদি কৃষ্ণের ভজন পরম আদলেব। 籌 কৃষ্ণভাজন হইলেও ‘আমিই কৃষ্ণ, আমাকেই ভজন এই কথার তাৎপৰ্য্য যাহাদের উপলব্ধির বিষয় হয়, তাহাবাই শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্রের ঔদার্ধ্যময়ী মূৰ্ত্তি শ্ৰীগৌরসুন্দবের দর্শনে যোগ্যতা লাভ করেন। ভক্তাধিরাজ বিষ্ণুসকলের মূল আকর শ্ৰীবলদেবনিত্যানন্দ-প্রন্থ এবং ভক্তাধিরাজ নামাচাৰ্য্য আদিগুরু r *ھٹھہری۔ “ जैवैष्खछडॉशबड “রক্ষ কৃষ্ণ, রক্ষা কৃষ্ণ”-সুব্ৰাহ্মণে বলে। সে স্থান ছাড়িয়া ভয়ে চলিলা সকলে ॥৯১৷৷ দুই দস্ত্র্য ধায়, দুই ঠাকুর পলায়। ধরিলু, ধরিলুবলি’ লাগ নাহি পায় ॥১২৷৷ বিরিঞ্চি এই সকল কথা তাবস্বরে ছন্নাবতারেব প্ৰকটকালে আপনাদিগকে কৃষ্ণলীলাব অভিন্নবিগ্ৰহ জানিয়া শিষ্টা সব্যস্বতীব প্রকাশ পূর্বক ভাগ্যহীন জনগণের নিকট আবরণ কবিতেছেন। কৃষ্ণ-বসময় ; সুতরাং সকল রসের একমাত্র আশ্ৰয়-বিগ্ৰহ বা সকল আশ্ৰিতেৰ একমাত্র বিষয বিগ্ৰহ। শ্ৰীকৃষ্ণ স্বয়ংরূপ বস্তু। রূপবহিত আংশিক পরমাত্মাপ্ৰকাশমাত্র নহেন। রূপ-বহিত বৃহদবোধক পদার্থমাত্র নহেন। তিনি ব্ৰহ্ম-পরমাত্মাদি সৰ্ব্ব কারণ-কারণ। স্বয়ংরূপ কৃষ্ণেব পূর্ণতমতাই-বলদেব, অংশই—কারণার্ণবশায়ী ভগবান, কলাই-গর্ভোদকশায়ী ভগবান, ধিকলা-ক্ষীরোদকশায়ী ভগবান। সকলই সেই স্বয়ংরূপ কৃষ্ণের বিষয়বিগ্ৰহ ; আশ্রিত-বিষয়বিগ্রহের প্রকাশ বিশেষ । সুতরাং কৃষ্ণ ও ‘আকৃষ্ট” কৃষ্ণভক্তগণ প্রাপঞ্চিকদর্শনে খণ্ডিত ভাবযুক্ত বস্তুবিশেষ নছেন। সৰ্ব্বসাকল্যে তিনিই পূর্ণ পুরুষ। সেই পূর্ণত্বেৰ আংশিক প্রকাশ প্রাপঞ্চিক ব্যাপকতার আকব, যাহাব অংশে অবস্থিত কলা-বিকলা। সেই কৃষ্ণভজন ব্যতীত আকৃষ্ট আত্মার আব্ব অন্য কোন বৃত্তি নাই। আকৃষ্ট আত্মা যে সময়ে বিক্ষিপ্ত হইয়া বৈকুণ্ঠ হইতে মায়ার দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করে, তখনই ব্ৰহ্মাণ্ড সৃষ্ট হয় এবং তটস্থ শক্তি পরিণতিক্রমে জৈবধৰ্ম্মে জড়াভোগ আসিয়া তাহাকে কৃষ্ণবিমুখ করায। কৃষ্ণবৈমুখ্য হইতেই বদ্ধজীবেব ব্ৰহ্ম-পরমাত্মা প্রভৃতি আংশিক ধারণাসমূহ জীবকে উন্মত্ত কাবাইয়া ব্ৰহ্মপবমাত্মার আংশিক বিচারে জড়ভাবে নিজাববরণ করিয়া বসে। কৃষ্ণই সকল রিসেব আশ্রয় বলিয়া মূল প্ৰকাশবিগ্ৰন্থ বলদেবেও সর্ববসাশ্ৰয়ত্ব বিদ্যমান। সেই বলদেব গ্ৰন্থ কৃষ্ণেরাই ভজন করিয়া থাকেন। "যথা তবোমুর্লনিষেচনেন।” বিচার গ্ৰহণ করিলেই কৃষ্ণভজনের পারতম্যবিষয়ে কোন প্রকার অনাচার করিতে হয় না। তখন রসাভেদে শ্ৰীচৈতন্যচরণ আশ্ৰয় করিয়া কেহ বা মধুত্ব-রতির আশ্ৰয়বিগ্রহের আনুগত্যে সুষ্ঠুভাবে অবস্থিত হন, কেহ বা |