পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা—বলরামমন্দিরে পুনর্যাত্রাদিনে ভক্তসঙ্গে। ১২১ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । [ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের পরমহংস অবস্থা । বালকবৎ—উন্মাদবৎ । ] ঠাকুর বারান্দার দিকে একটু গিয়া আবার ঘরে ফিরিয়া আসিলেন। বাহিরে যাইবার সময় শ্ৰীযুক্ত বিশ্বস্তরের কন্য। তাহাকে নমস্কার করিয়াছিল, তাহার বয়স ৬৭ বৎসর হইবে । ঠাকুর ঘরে ফিরিয়া আসিলে পর মেয়েট ৰ্তাহার সহিত কথা কহিতেছে। তাহার সঙ্গে আরও দু একটা সমবয়স্ক ছেলে মেয়ে আছে । বিশ্বস্তরের কন্যা ( ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণের প্রতি )—আমি তোমায় নমস্কার করলুম, দেখলে না ! ত্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে)—কই, দেখি নাই । কন্যা । তবে দাড়াও, আবার নমস্কার করি ;–দাড়াও এ পাট। করি । ঠাকুর হাসিতে হাসিতে উপবেশন করিলেন ও ভূমি পৰ্য্যন্ত মস্তক নত করিয়া কুমারীকে প্রতি-নমস্কার করিলেন। ঠাকুর মেয়েটকে গান গাহিতে বলিলেন । মেয়েটি বলিল—‘মাইরি, গান জানি না ? তাহাকে আবার অনুরোধ করাতে, বলিতেছে, ‘মাইরি বল্পে আর বলা হয় ? ঠাকুর তাহদের লইয়া আনন্দ করিতেছেন ও গান শুনাইতেছেন। প্রথমে কেলুয়ার গান, তার পর, আয়লো তোর খোপা বেঁধে দি, তোর ভাতার এলে বলবে কি ?” ছেলেরা ও ভক্তেরা গান শুনিয়া হাসিতেছেন । [ পূর্বকথা—জন্মভূমি দর্শন ৫ ১৮৬৯-৭০ বালক শিবরামের চরিত্র। সিহোড়ে হৃদয়ের বাড়ী দুর্গাপূজা । ঠাকুরের উন্মাদকালে লিঙ্গপূজা । ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( ভক্তদের প্রতি ) ৷ পরমহংসের স্বভাব ঠিক পাচ বছরের বালকের মত । সব চৈতন্যময় দেখে । “যখন আমি ও দেশে (কামারপুকুরে ), রামলালের ভাই (শিবরাম) তখন ৪৫ বছর বয়স,—পুকুরের ধারে ফড়িঙ ধরতে যাচ্ছে । পাতা নড়ছে, আর পাতার শব্দ পাছে হয়, তাই পাতাকে বলছে, চোপ্‌ !

  • ঐযুক্ত শিব রামের জন্ম-সহ চৈত্র ১২৭২, ৮দোলপূর্ণিমার দিনে, ৩• মার্চ ১৮৬৬ খৃঃ । ঠাকুরের এবার জন্মভূমি দর্শনের সময় তিন চার বছর বয়স

অর্থাৎ ১৮৬৯-৭০ খৃঃ ।