পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। রাম, সুরেন্দ্র, ভবনাথ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে । >(?○ 'দরবেশ দাড়ারে, সাধের করোয় ধারী, দাড়ারে তোর রূপ নেহারি ? “শাক্তমতের সিদ্ধকে বলে কৌল। বেদান্তমতে বলে পরমহংস । বাউল বৈষ্ণবদের মতে বলে সাই । ‘সাইয়ের পর আর নাই’ । “বাউল সিদ্ধ হলে সাঁই হয়। তখন সব অভেদ। অৰ্দ্ধেক মালা গোহাড়, অৰ্দ্ধেক মালা তুলসীর । হিঁদুর নীর—মুসলমানের পীর । [ আলেখ হাওয়ার খপর । পৈঠে । রসের কাজ । খোলা নামা । ] “সাইয়ের বলে—আলেখ । আলেখ । বেদমতে বলে ব্রহ্ম ; ওরা বলে আলেখ ! জীবদের বলে—“আলেখে আসে আলেখে যায় ; অর্থাৎ জীবাত্মা অব্যক্ত থেকে এসে তাইতে লয় হয় । “তারা বলে, হাওয়ার খবর জান ? “অর্থাৎ কুলকুণ্ডলিনী জাগরণ হলে ঈড়া পিঙ্গলা সুষুম্না—এদের ভিতর দিয়ে যে মহাবায়ু উঠে, তাহার খবর । “জিজ্ঞাসা করে, কোন পৈঠেতে আছ ?—ছটা পইঠে—ষড়চক্র । “যদি বলে পঞ্চমে আছে, তার মানে যে, বিশুদ্ধ চক্রে মন উঠেছে। ( মাষ্টারের প্রতি ) ৷ তখন নিরাকার দর্শন। যেমন গানে আছে। এই বলিয়া ঠাকুর একটু স্থর করিয়া বলিতেছেন—তদূদ্ধেতে আছে মাগো অম্বুজে আকাশ । সে আকাশ রুদ্ধ হলে সকলি আকাশ । পূৰ্ব্বকথা—বাউল ও ঘোষপাড়ার কৰ্ত্তাভজাদের আগমন। ] “এক জন বাউল এসেছিল । তা আমি বল্লাম, “তোমার রসের কাজ সব হয়ে গেছে ?—খোলা নেমেছে ? যত রস জ্বাল দেবে, তত রেফাইন refine হবে। প্রথম, আকের রস—তার পর গুড়–তার পর দোলে৷ —তার পর চিনি-—তার পর মিছরি, ওলা, এই সব। ক্রমে ক্রমে আরও রেফাইন হচ্চে । ” “খোলা নামবে কখন ? অর্থাৎ সাধন শেষ হবে কবে ?—যখন ইন্দ্রিয় জয় হবে—যেমন জোকের উপর চূণ দিলে জোক আপনি খুলে পড়ে যাবে,—ইন্দ্রিয় তেমি শিথিল হয়ে যাবে। রমণীর সঙ্গে থাকে, লা করে রমণ ।

  • ওরা অনেকে রাধাতন্ত্রের মতে চলে ; পঞ্চতত্ত্ব নিয়ে সাধন করে ।