পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর । রাম, সুরেন্দ্র, ভবনাথ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। ১৫৫ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । ত্রীরামকৃষ্ণ ও সৰ্ব্বধৰ্ম্মসমন্বয় । Why all Scriptures—-all Religions—are true. শ্রীরামকৃষ্ণ । দেখছে কত রকম মত ! মত, পথ । অনন্ত মত, আলস্ত পথ । ভবনাথ । এখন উপায় । শ্রীরামকৃষ্ণ । একটা জোর করে ধরতে হয় । ছাদে গেলে পাক৷ সিড়িতে উঠা যায়, এক খানা মইয়ে উঠা যায়, দড়ির সিড়িতে উঠা যায়, এক গাছা দড়ি দিয়ে, এক গাছ। বঁাশ দিয়ে, উঠা যায়। কিন্তু এতে খানিকট পা, ওতে খানিকট পা দিলে হয় না। একটা দৃঢ় করে ধরতে হয়। ঈশ্বর লাভ করতে হলে, একটা পথ জোর করে ধরে যেতে হয়। “আর সব মতকে এক একটা পথ বলে জানবে । আমার ঠিক পথ, আর সকলের মিথ্যা, এরূপ বোধ না হয়। বিদ্বেষভাব না হয় । [ ‘আমি কোন পথের ? কেশব, শশধর ও বিজয়ের মত । ] “আচ্ছা আমি কোন পথের ? কেশব সেন বলতে, আপনি আমাদেরই মতের,—নিরাকারে আসছেন। শশধর বলে, ইনি আমাদের । বিজয়ও ( গোস্বামী ) বলে, ইনি আমাদের মতের লোক । ঠাকুর কি বলিতেছেন যে, আমি সব পথ দিয়াই ভগবানের নিকট পৌঁছিয়াছি—তাই সব পথের খবর জানি ? আর সকল ধৰ্ম্মের লোক আমার কাছে এসে শান্তি পাবে ? ঠাকুর পঞ্চবটীর দিকে মাষ্টার প্রভৃতি দুএকটা ভক্তের সঙ্গে যাইতেছেন—মুখ ধুইবেন । বেলা বারটা, এইবার বান আসিবে । তাই শুনিয়া ঠাকুর পঞ্চবটীর পথে একটু অপেক্ষা করিতেছেন। [ ভাব মহাভাবের গুঢ় তত্ত্ব । গঙ্গার জোয়ার ভাটা দর্শন । ] ভক্তদের বলিতেছেন—“জোয়ার ভাটা কি আশ্চৰ্য্য !" | “কিন্তু একটা দ্যাখো,—সমুদ্রের কাছে নদীর ভিতর জোয়ার ভাট। খেলে। সমুদ্র থেকে অনেক দূর হলে এক টানা হয়ে যায় ! এর মানে কি ?—ঐ ভাবট আরোপ কর । যারা ঈশ্বরের খুব কাছে,