পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। অধর হাজরা প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে। × \(* আমি এদের যে ভালবাসি, সাক্ষাৎ নারায়ণ দেখি !—কথায় নয় । ঠিক ঠিক ত্যাগীর ভার ঈশ্বর লন। ‘অনন্যাশ্চিন্তয়ন্তঃ’ । ] শ্রীরামকৃষ্ণ ( অধরের প্রতি )। শোনো ! আলো জাল্লে বাস্থলে পোকার অভাব হয় না ! তাকে লাভ কল্লে তিনি সব জোগাড় করে দেন—কোন অভাব রাখেন না । তিনি হৃদয়মধ্যে এলে সেবা করবার লোক অনেক এসে জোটে ! “একটা ছোকুর সন্ন্যাসী গৃহস্থ বাড়ী ভিক্ষা কত্তে গিছিল। সে আজন্ম সন্ন্যাসী। সংসারের বিষয় কিছু জানে না। গৃহস্থের একটা যুবতী মেয়ে এসে ভিক্ষা দিলে। সন্ন্যাসী বল্লে, মা এর বুকে কি ফোড় হয়েছে ? মেয়েটর মা বল্লে, না বাবা ! ওর পেটে ছেলে হবে বলে ঈশ্বর স্তন করে দিয়েছেন—ঐ স্তনের দুধ ছেলে খাবে । সন্ন্যাসী তখন বল্লে, তবে তার ভাবনা কি ! আমি আর কেন ভিক্ষা করবো ? যিনি আমায় স্থষ্টি করেছেন, তিনি আমায় খেতে দেবেন। “শোনে ! যে উপপতির জন্য সব ত্যাগ করে এলে, সে বলবে না, শাল, তোর বুকে বসবো তার খাব ! [ তোতাপুরীর গল্প—রাজার সাধুসেবা । কাশীর দুর্গাবাড়ীর নিকট নানকপন্থীর মঠে ঠাকুরের মোহন্তদর্শন ১৮৬৮ খৃঃ । ] “ন্যাঙটা বল্লে, কোন রাজা সোণার থালা, সোণার গেলাস দিয়ে সাধুদের খাওয়ালে। কাশীতে মঠে দেখলাম,মোহন্তর কত মান—বড় বড় খোট্টার হাত জোড় করে দাড়িয়ে আছে, আর বলছে, কি আজ্ঞা ! “ঠিক ঠিক সাধু—ঠিক ঠিক ত্যাগী—সোণার থালও চায় না, মানও চায় না। তবে ঈশ্বর তাদের কোন অভাব রাখেন না। তাকে পেতে গেলে যা যা দরকার, সব যোগাড় করে দেন । ( সকলে নিঃশব্দ ) । শ্রীরামকৃষ্ণ । আপনি হাকিম—কি বোলবো !—যা ভাল বোঝ তাই কোরো। আমি মূর্খ। অধর (সহস্তে, ভক্তদিগকে ) উনি আমাকে একজামিন কচ্চেন । শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্তে )। নিৰ্ব্বত্তিই ভাল । ছাখো না, আমি সই কল্লাম না । ঈশ্বরই বস্তু আর সব অবত্ত ।