পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/২২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sనy āşīāngarotos [1884, 19th September. ঐরামকৃষ্ণ ছোকরাদের সঙ্গে একটু আমোদ আহলাদ করিয়া এক জন ভক্তকে বলিতেছেন, ‘আজ অমাবস্যা, মার ঘরে যেও ! সন্ধ্যার পর আরতির শব্দ শুনা যাইতেছে। ঠাকুর বাবুরামকে বলিতেছেন—“চলরে চল l কালীঘরে !" ঠাকুর বাবুরামের সঙ্গে যাইতেছেন। মাষ্টাবও সঙ্গে আছেন। হরিশ বারাণ্ডায় বসিয়া আছেন দেখিয়া ঠাকুর বলিতেছেন, ‘এর আবার বুঝি ভাব লাগলো! উঠান দিয়া চলিতে চলিতে শ্ৰীশ্রীরাধাকান্তের আরতি একটু দেখিলেন। তৎপরেই ম৷ কালীর মন্দিরের অভিমুখে যাইতেছেন। যাইতে যাইতে হাত তুলিয়া জগন্মাতাকে ডাকিতেছেন, "ওমা ! ওম! ব্রহ্ম মন্ত্ৰী!” মন্দিরের সম্মুখের চাতালে উপস্থিত হইয় মাকে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিতেছেন। মার আরতি হইতেছে। ঠাকুর মন্দিরে প্রবেশ করিলেন ও চামর লইয়া ব্যজন করিতে লাগিলেন । আরতি সমাপ্ত হইল। র্যাহার আরতি দেখিতেছিলেন এক কালে সকলে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ ও মন্দিরের বাহিরে আসিয়া প্রণাম করিলেন । মহেন্দ্র মুখুয্যে প্রভৃতি ভক্তেরাও প্রণাম করিলেন । আজ অমাবস্য। ঠাকুর ভাববিষ্ট হইয়াছেন। গগর মাতোয়ারা ! বাবুরামের হাত ধরিয়া মাতালের ন্যায় টলিতে টলিতে নিজের ঘরে ফিরিলেন । ঘরের পশ্চিমের গোল বারাণ্ডায় ফরাস একটি আলো জুলিয়া দিয়া গিয়াছে। ঠাকুর সেই বারাণ্ডায় আসিয়া একটু বসিলেন। মুখে হরি ও ! হরি ও ! হিনি ও ! ও তন্ত্রোক্ত নানাবিধ বীজমন্ত্র। কিয়ৎক্ষণ পরে ঠাকুর ঘরের মধ্যে নিজের আসনে পূৰ্ব্বাস্ত হইয় বসিয়াছেন। এখনও ভাবের পূর্ণ মাত্রা । - মুখুয্যে ভ্রাতৃদ্বয়, বাবুরাম, প্রভৃতি ভক্তেরা মেজেতে বসিয়া আছেন। [Origin of Language. The Philosophy of Prayer] ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভাবাবিষ্ট হইয়া মার সহিত কথা কহিতেছেন— বলিতেছেন—“ম, আমি বলবো তবে তুমি করবে—এ কথাই নয়।