পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বর। রাখাল, মহিমাচরণ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে—মুক্তকণ্ঠ । ২৭৯ ঠাকুর এই কথা বলিতে বলিতে নামিয়া আসিয়া মেজেতে মহিমাচরণের নিকট বসিলেন । কাছে মাস্টারও আর ও দু একটা ভক্ত । ঘরে রাখালও আছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( মহিমার প্রতি) । আপনাকে অনেক দিন বলবার ইচছা ছিল, পারি নাই—আজ বলতে ইচ্ছা হচ্ছে । “আমার যা অবস্থা—আপনি বলেন, সাধন করলেই ও রকম হয়, তা নয়। এতে (তামাতে) কিছু বিশেষ আছে । মাস্টার, রাখাল, প্রভৃতি ভক্তেরা তাবাক হইয়। ঠাকুর কি বলিবেন উৎসুক হইয়া শুনিতেছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ । কখ। কম্লেছে !—শুধু দর্শন নয়—কথা কয়েছে ! বটতলায় দেখলাম, গঙ্গার ভিতর থেকে উঠে এসে—তার পর কত হাসি । খেলার ছলে আঙ্গুল মটুকান হলো । তার পর কথা । ーマミー|| マーて李て堅て! “তিন দিন করে কেঁদেছি আর বেদ পুরাণ তন্ত্র—এ সব শাস্ত্রে কি আছে—( তিনি ) সব দেখিয়ে দিয়েছেন! “মহামায়ার লাক্স। যে কি, তা একদিন দেখালে। ঘরের ভিতর ছোট জ্যোতি ক্রমে ক্রমে বাড়তে লাগলো! আর জগৎকে ঢেকে ফেলতে লাগলো ! “ আবার দেখালে,—যেন মস্ত দিঘী, পানীয় ঢাকা । হাওয়াতে পান একটু সরে গেল,—অমনি জল দেখা গেল। কিন্তু দেখতে দেখতে চার দিককার পান, নাছতে নাচতে এসে, আবার ঢেকে ফেল্পে ! দেখালে, ঐ জল যেন সচিদানন্দ, আর পান যেন মাঙ্কা । মায়ার দরুণ সচ্চিদানন্দকে দেখা যায় না,—যদিও এক একবার চকিতের ন্যায় দেখা যায়, তো আবার মায়াতে ঢেকে ফেলে ! “কিরূপ লোক (ভক্ত) এখানে আসবে, আসবার আগে, দেখিয়ে দেয় । বটতলা থেকে বকুলতলা পর্য্যন্ত চৈতন্যদেবের সংকীৰ্ত্তনের দল দেখালে। তাতে বলরামকে দেখলাম—না হলে মিছরি এ সব দেবে কে ? আর এ কে দেখেছিলাম ।