পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কলিকাতা, শ্যামপুকুরে, ডাক্তার সরকার, গিরিশ প্রভৃতি সঙ্গে। ৩০৫ —এ সব সিদ্ধাই । মাল্ল। অতি নীচু ঘর, তারাই ঈশ্বরকে ভাকে রোগ ভালর জম্ম । তৃতীয় পরিচ্ছেদ । পুর্ণজ্ঞান | দেহ ও আত্মা আলাদা । শ্ৰীমুখ কথিত চরিতামৃত । ] সন্ধ্য হইল। শ্রীরামকৃষ্ণ শয্যায় বসিয়া মার চিন্ত ও নাম করিতেছেন । ভক্তেরা অনেকে তাহার কাছে নিঃশব্দে বসিয়া আছেন । কিয়ও ক্ষণ পরে ডাক্তার সরকার আসিয়া উপস্থিত হইলেন । ঘরে লাটু, শশী, শরৎ, ছোট নরেন, পণ্ট, ভূপতি, গিরীশ প্রভৃতি অনেক ভক্তেরা আসিয়াছেন। গিরীশের সঙ্গে থিয়েটারের শ্ৰীযুক্ত রামতারণ আসিয়াছেন—গান গাইবেন । ডাক্তার ( শ্রীরামকৃষ্ণের প্রতি ) ৷ কাল রাত তিনটার সময় আমি তোমার জন্য বড় ভেবেছিলুম। বৃষ্টি হ’ল,—ভাবলুম দোর টোর খুলে রেখেছে—না কি করেছে, কে জানে । শ্রীরামকৃষ্ণ ডাক্তারের স্নেহ দেখিয়া প্রসন্ন হইয়াছেন। আর বলিতেছেন, ‘বল কি গো ! “যতক্ষণ দেহটা আছে, ততক্ষণ যত্ন করতে হয় । “কিন্তু দেখছি যে, এটা আলাদা। কামিনীকাঞ্চনের উপর ভালবাসা যদি একবারে চলে যায়, তা হলে ঠিক বুঝতে পারা যায় যে, দেহ আলাদা আর আত্মা আলাদা । নারকেলের জল সব শুকিয়ে গেলে মালা আলাদা, শ স আলাদা, হয়ে যায়। তখন নারকেল টের পাওয়া যায়,—ঢপর ঢপর করছে। যেমন খাপ আর তরবার—খাপ, আলাদা, তরবার আলাদা । “তই দেহের অসুখের জন্য র্তাকে বেশী বলতে পারি না । গিরীশ। পণ্ডিত শশধর বলেছিলেন, “আপনি সমাধি অবস্থায় দেহের উপর মনটা আনবেন,—তা হলে অসুখ সেরে যাবে । ইনি ভাবে দেখলেন যে, শরীরটা যেন ধ্যাড় ধ্যাড় করছে ! - 있이