পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত চতুর্থ ভাগ.djvu/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে ভক্তসঙ্গে গুরুরূপী শ্রীরামকৃষ্ণ । © Ꮍ. মোমের । মূলাধার পদ্মে কুলকুণ্ডলিনী শক্তি আছেন। চতুৰ্দ্দল পদ্ম । যিনি আছাশক্তি, তিনিই সকলের দেহে কুলকুণ্ডলিনীরূপে আছেন। যেন ঘুমন্ত সাপ কুণ্ডলী পাকিয়ে রয়েছে ! ‘প্রহ্লপ্ত ভুজগাকারা আধারপদ্মবাসিনী ! (মণির প্রতি ) ভক্তিযোগে কুলকুণ্ডলিনী শীঘ্ৰ জাগ্রত হয়। কিন্তু ইনি জাগ্রত না হলে ভগবান দর্শন হয় না । গান করে করে একাগ্রতার সহিত গাইবে—নির্জনে গোপনে— ‘জাগো মা কুলকুণ্ডলিনি ! তুমি নিত্যানন্দ স্বরূপিণী, প্রস্থপ্ত-ভুজগাকার আধারপদ্মবাসিনী । “গানে রামপ্রসাদ সিদ্ধ। ব্যাকুল হয়ে গান গাইলে ঈশ্বরদর্শন হয় । মণি । আজ্ঞ, এ সব একবার করলে মনের খেদ মিটে যায় ! শ্রীরামকৃষ্ণ । আহা ! খেদ মেটেই বটে ! w" “যোগের বিষয় গোটাকতক মোটামুটা তোমায় বলে দিতে হবে । [ গুরুই সব করেন। সাধন ও সিদ্ধি । নরেন্দ্র স্বতঃসিদ্ধ। ] “কি জান, ডিমের ভিতর ছান। বড় না হলে পাখী ঠোকরায় না । সময় হ'লেই পাখী ডিম ফুটোয় । ‘তবে একটু সাধন করা দরকার। গুরুই সব করেন,—তবে শেষটা একটু সাধনা করিয়ে লন । বড় গাছ কাটুবার সময় প্রায় সবটা কাটা হলে পর একটু সরে দাড়াতে হয় । তার পর গাছটা মড়মড় করে আপনিই ভেঙ্গে পড়ে। ‘যখন খাল কেটে জল আনে, আর একটু কাট্‌লেই নদীর সঙ্গে যোগ হয়ে যাবে, তখন যে কাটে, সে সরে দাড়ায় । তখন মাটীট ভিজে আপনিই পড়ে যায়, আর নদীর জল হুড় হুড় করে খালে আসে । “অহঙ্কার, উপাধি, এ সব ত্যাগ হলেই ঈশ্বরকে দর্শন করা যায়। ‘আমি পণ্ডিত ‘আমি অমুকের ছেলে ‘আমি ধনী’ ‘আমি মানী---এ সব উপাধি ত্যাগ হলেই দশন । ‘ঈশ্বর সত্য আর সব অনিত্য,–সংসার অনিত্য, –এর নাম বিবেক। বিবেক না হলে উপদেশ গ্রাহ হয় না ।