পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্কুলে অধ্যাপনা । করেন, বাবুরাম Gi zsi Entrance classa শ্রীরামকৃষ্ণ (বাবুরামের প্রতি )—তোর বই কই ? পড়া শুনা করবি না ? ( মাষ্টারের প্রতি ) ও দিক রাখতে চায়। “বড় কঠিন পথ, একটু তাকে জানলে কি হবে বশিষ্ঠদেব, তারই পুত্ৰশোক হ’ল। লক্ষ্মণ দেখে অবাক হয়ে রামকে জিজ্ঞাসা করলেন । রাম বললেন, ভাই, এ আর অা শচর্য্য কি ? যার জ্ঞান আছে তার অজ্ঞানও আছে ? ভাই, তুমি জ্ঞান-অজ্ঞানের পার হও! পায়ে কাটা ফুটলে, আর একটি কাটা খুজে আনতে হয়, সেই কাটা দিয়ে প্রথম কাটাটি তুলতে হয়, তার পর দুটি কাটাই ফেলে দিতে হয়। তাই অজ্ঞান-কাট তুলবার জন্য জ্ঞান-কাটা যোগাড় করতে হয়। তার পর জ্ঞান-অজ্ঞানের পারে যেতে হয় ।” বাবুরাম (সহাস্তে )—আমি ঐট চাই । শ্রীরামকৃষ্ণ ( সহাস্ত্যে )—ওরে, তুদিক রাখলে কি তা হয় । তা যদি চাস তবে চলে আয় ! বাবুরাম,(সহাস্তে )—আপনি নিয়ে আসুন । শ্রীরামকৃষ্ণ ( মাষ্টারের প্রতি )—রাখাল ছিল সে এক, তার বাপের মত ছিল। এরা থাকলে হাঙ্গাম হবে। - ( বাবুরামের প্রতি )—“তুই ছৰ্ব্বল! তোর সাহস কম! দেখ দেখি ছোট নরেন কেমন বলে, আমি একবারে এসে থাকব ।” এতক্ষণে ঠাকুর ছোকর ভক্তদের মধ্যে আসিয়া মেজেতে মাছরের উপর বসিয়াছেন । মাষ্টার তাহার কাছে বসিয়া আছেন । শ্রীরামকৃষ্ণ (মাষ্টারকে )—আমি কামিনীকাঞ্চন-ত্যাগী খুঁজছি। মনে করি, এ বুঝি থাকবে ! সকলেই এক একটা ওজর করে !