পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীরামকৃষ্ণ বলরাম-মন্দিরে গিরিশ প্রভৃতি ভক্তসঙ্গে ২০১ নির সেবক হয়, লোকে বলবে, গুরুচরণের ভাইয়ের আজ কাল বেশ সময়,-—কত লোক আসছে যাচ্ছে,–শিৰ্ম্মি-সেবক অনেক হয়েছে,— ঘরে জিনিসপত্র থৈ থৈ করছে –কত জিনিস কত লোক এনে দিচ্ছে —সে যদি মনে করে—তার এমন শক্তি হয়েছে যে, কত লোককে খাওয়াতে পারে ।

  • গুরুগিরি বেশ্বাগিরির মত –ছার টাকা কড়ি, লোকমান্য হওয়া, শরীরের সেবা, এই সবের জন্য আপনাকে বিক্রি করা। ষে শরীর মন আত্মার দ্বারা ঈশ্বরকে লাভ করা যায় সেই শরীর মন । আত্মাকে সামান্ত জিনিসের জন্য এরূপ করে রাখা ভাল নয়ঞ্চ । একজন বলেছিল, সাবির এখন খুব সময়—এখন তার বেশ হয়েছে—একখানা । ঘর ভাড়া নিয়েছে,—ঘুটে রে, গোবর রে, তক্তাপোশ, ছ'খানা বাসন হয়েছে, বিছানা, মাছর, তাকিয়া—কতলোক বশীভূত, যাচ্ছে আসছে। অর্থাৎ সাবি এখন বেশ্য হয়েছে তাই সুখ ধরে না ! আগে সে ভদ্র

লোকের বাড়ির দাসী ছিল, এখন বেশ্য হয়েছে । সামান্য জিনিসের জন্য নিজের সবর্বনাশ ! [ শ্রীরামকৃষ্ণের সাধনায় প্রলোভন (Temptation), ব্ৰহ্মজ্ঞান ও অভেদ বুদ্ধি ] শ্রীরামকৃষ্ণ ও মুসলমান ধৰ্ম্ম “সাধনার সময় ধ্যান করতে করতে আমি আরও কত কি দেখতাম । বেলতলায় ধ্যান করছি, পাপ পুরুষ এসে কত রকম লোভ দেখাতে লাগল। লড়ায়ে গোরার রূপ ধ’রে এসেছিল। টাকা, মান, রমণ সুখ, নানা রকম শক্তি, এই সব দিতে চাইলে । আমি মাকে ডাকতে লাগলাম।

  • আত্মানম্ নাবসাদয়েৎ—গীত