পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার মা, আমার স্ত্রী-এদের ছেড়ে কেমন করে যাব। গুরু কয়, ও সব ভুল। আমি তোকে একটা ফলি শিখিয়ে দিচ্ছি, মেইট কম তাহলে বুঝবি সত্য ভালবাসে কি না ! এই বলে একটা ঔষধের স্থা তার হাতে দিয়ে বললেন, এইটি খাস, মড়ার মতন হয়ে যাবি! ap জ্ঞান যাবে না, সব দেখতে শুনতে পাবি। তার পর আমি গেলে sে. ক্রমে ক্রমে পূৰ্ব্বাবস্থা হবে । “শিষটি ঠিক ঐরাপ করলে । বাড়িতে কান্নাকাটি পড়ে গেল । ম, স্ত্রী, সকলে আছড়া-পিছড়ি ক'রে কাদছে । এমন সময় একটু ব্রাহ্মণ এসে বললে, কি হয়েছে গা ? তারা সকলে বললে, এ ছেলেট মারা গেছে । ব্রাহ্মণ মরা মানুষের হাত দেখে বললেন, সে কি, এ ত মরে নাই । আমি একটি ঔষধ দিচ্ছি খেলেই সেরে যাবে! বাড়ির সকলে তখন যেন হাতে স্বর্গ পেলে । তখন ব্রাহ্মণ বললেন, তবে একটি কথা আছে। ঔষধটি আগে একজনের খেতে হবে, তার পর ওর খেতে হবে। যিনি আগে খাবেন, তার কিন্তু মৃত্যু হবে। এর ত অনেক আপনার লোক আছে দেখছি, কেউ না কেউ অবশ্য খেতে পারে। মা কি স্ত্রী এরা খুব কাদছেন, এরা অবশ্ব পারেন। “তখন তারা সব কান্না থামিয়ে, চুপ করে রইল। মা বললেন, তাই ত এই বৃহৎ সংসার, আমি গেলে, কে এই সব দেখবে শুনবে, এই বলে ভাবতে লাগলেন। স্ত্রী এইমাত্র এই বলে কাদছিল—‘দিদি গো আমার কি হলো গো ! সে বললে, তাই ত, ওঁর যা হবার হয়ে গেছে । আমার ছুটি তিনটি নাবালক ছেলেমেয়ে—আমি যদি যাই এদের কে দেখবে।