পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণকথামৃত—৩র ভাগ ( ১৮৮২, ৫ই আগষ্ট । কহিতেছেন। বিদ্যাসাগর মহাপণ্ডিত। ষড়দর্শন পাঠ করিয়া দেখিয়া- ৷ ছেন বুঝি ঈশ্বরের বিষয় জানা যায় না। স্ত্রীরামকৃষ্ণ–ব্রহ্ম-বিষ্ঠা ও অবিদ্যার পার। তিনি মায়াতীত। । [ Problem of Evil–ব্রহ্ম নির্লিপ্ত—জীবেরই সম্বন্ধে দুঃখাদি ) । “এই জগতে বিদ্যামায়া অবিদ্যামায়া দুইই আছে ; জ্ঞান ভক্তি আছে আবার কামিনীকাঞ্চনও আছে, সৎও আছে, অসৎও আছে। ভালও আছে আবার মন্দও আছে। কিন্তু ব্ৰহ্ম নির্লিপ্ত। ভাল মন্দ জীবের পক্ষে, সৎ অসৎ জীবের পক্ষে, তার ওতে কিছু হয় না। । “যেমন প্রদীপের সম্মুখে কেউ বা ভাগবত পড়ছে, আর কেউ বা জাল ক'বৃছে। প্রদীপ নিলিপ্ত ! - “সূর্য্য শিষ্ট্রের উপর আলো দিচ্চে, আবার তুষ্টের উপরও দিচ্চে। “যদি বল দুঃখ, পাপ, অশান্তি এ সকল তবে কি ? তার উত্তর এই যে, ও সব জীবের পক্ষে। ব্রহ্ম নির্লিপ্ত। সাপের ভিতর বিষ আছে, অন্যকে কামড়ালে মরে যায়। সাপের কিন্তু কিছু হয় না। [ ‘ব্রহ্ম অনিৰ্ব্বচনীয় অব্যপদেশ্যম্’ ] “The Unknown and Unknowable.” “ব্রহ্ম যে কি, মুখে বলা যায় না। সব জিনিস উচ্ছিষ্ট হয়ে গেছে। বেদ, পুরাণ, তন্ত্র ; যড়দর্শন, সব এটো হ’য়ে গেছে ! মুখে পড়া হয়েছে, মুখে উচ্চারণ হয়েছে—তাই এটো হয়েছে। কিন্তু একটি জিনিস কেবল উচ্ছিষ্ট হয় নাই সে জিনিসটি ব্রহ্ম। ব্ৰহ্ম যে কি, আজ পর্যন্ত কেহ মুখে বলতে পারে নাই ।” বিদ্যাসাগর ( বন্ধুদের প্রতি )—ব ! এটি তো বেশ কথা! আজ একটি নূন্তন কথা শিখলাম। শ্রীরামকৃষ্ণ–এক বাপের ছুটি ছেলে। ব্রহ্মবিদ্যা শিখবার জন্য ।