পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫ ঐস্ত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ f১৮, ২জশন ঈশ্বর সত্য, জগৎ অনিত্য, এই বিচার,—অর্থাৎ বিবেক বৈরাগ্য। আবার তার নাম গুণ কীৰ্ত্তন, ধ্যান, সাধুসঙ্গ, প্রার্থনা এ সব বিছামায়ার ভিতর । বিদ্যামায়া যেন ছাদে উঠবার শেষ কয় င္ငံမ္ဟုပ္ပီl, আর এক ধাপ উঠলেই ছাদ। ছাদে উঠা অর্থাৎ ঈশ্বর লাভ। [ সংসারী লোক ও কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগী ছোকরা ] “বিষয়ীরা মাতাল হয়ে আছে,—কামিনী-কাঞ্চনে মত্ত, হুস নাই,— তাইতে ছোকরাদের ভালবাসি। তাদের ভিতর কামিনী-কাঞ্চন এখনও ঢোকে নাই। আধার ভাল, ঈশ্বরের কাজে আসতে পারে। সংসারীদের ভিতুর কাটা বাছতে বাছতে সব যায়,—মাছ পাওয়া যায় না ! “যেমন শিলে থেকে আম—গঙ্গা জল দিয়ে ল’তে হয়। ঠাকুর সেবায় প্রায় দেওয়া হয় না ; ব্ৰহ্ম জ্ঞান ক'রে তবে কাটতে হয়,— অর্থাৎ তিনি সব হয়েছেন এইরূপ মনকে বুঝিয়ে ।” শ্ৰীযুক্ত অশ্বিনীকুমার দত্ত ও শ্রীযুক্ত বিহারী ভাদুড়ীর পুত্রের সঙ্গে একটা থিয়জফিষ্ট আসিয়াছেন। মুখুয্যেরা আসিয়া ঠাকুরকে প্রণাম করিলেন। উঠানে সংকীৰ্ত্তনের আয়োজন হইয়াছে। যেই খোল বাজিল ঠাকুর ঘর ত্যাগ করিয়া উঠানে গিয়া বসিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ভক্তেরা গিয়া উঠানে বসিলেন। ভবনাথ অশ্বিনীর পরিচয় দিতেছেন। ঠাকুর মাষ্টারকে অশ্বিনীকে দেখাইয়া দিলেন। দুজনে কথা কহিতেছেন, নরেন্দ্র উঠানে আসিলেন। ঠাকুর অশ্বিনীকে বলিতেছেন, “এরই নাম লরেন্দ্র।”