পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত তৃতীয় ভাগ.djvu/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૧૭ ঐত্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-৩য় ভাগ [ ১৮৮৫, ১৩ই জুন “একজনের ছেলেটি যায় যায় হয়েছিল। সে ব্যক্তি ব্যাকুল হ’য়ে, এর কাছে ওর কাছে উপায় জিজ্ঞাসা ক’রে বেড়াচ্ছে । একজন বললে, তুমি যদি এইটি যোগাড় করতে পারে তো ভাল হয়,—স্বাতী নক্ষত্রের জল পড়বে মড়ার মাথার খুলির উপর । সেই জল একটি ব্যাঙ খেতে যাবে। সেই ব্যাঙকে একটি সাপে তাড়া করবে। ব্যাঙকে কামড়াতে গিয়ে সাপের বিষ ঐ মড়ার মাথার খুলিতে পড়বে, আর সেই ব্যাঙটি পালিয়ে যাবে। সেই বিষজল একটু লয়ে রোগীকে খাওয়াতে হবে।’ “লোকটি অমনি ব্যাকুল হ’য়ে সেই ঔষধ খুঁজতে স্বাতী নক্ষত্রে বেরুল ! এমন সময়ে বৃষ্টি হচ্ছে । তখন ব্যাকুল হয়ে ঈশ্বরকে বলছে, ঠাকুর । এইবার মড়ার মাথা জুটিয়ে দাও । খুজতে খুজতে দেখে, একটি মড়ার খুলি, তাতে স্বাতী নক্ষত্রের জল পড়েছে ; তখন আবার সে প্রার্থনা করে বলতে লাগল, দোহাই ঠাকুর । এইবার আর কটি জুটিয়ে দাও—ব্যাঙ ও সাপ ! তার যেমন ব্যাকুলতা তেমনি সব জুটে গেল । দেখতে দেখতে একটি সাপ ব্যাঙকে তাড়া করে আসছে, আর কামড়াতে গিয়ে তার বিষ, ঐ খুলির ভিতর পড়ে গেল। “ঈশ্বরের শরণাগত হয়ে, তাকে ব্যাকুল হয়ে ডাকলে, তিনি শুনৃবেনই শুনবেন—সব সুযোগ ক’রে দেবেন।” কাপ্তেন—কেয়া দৃষ্টান্ত ! শ্রীরামকৃষ্ণ—ই, তিনি সুযোগ করে দেন। হয় ত,—বিয়ে হ’ল না, সব মন ঈশ্বরকে দিতে পারলে। হয়ত ভায়ের রোজগার করতে লাগল বা একটি ছেলে মানুষ হ’য়ে গেল, তা হ’লে তোমার আর সংসার দেখতে হ’ল না । তখন তুমি অনায়াসে ষোল আনা মন ঈশ্বরকে रिङ পার। তবে কামিনী-কাঞ্চন ত্যাগ না হ'লে হবে না। ত্যাগ হ’লে তবে অজ্ঞান অবিদ্যা নাশ হয়। আতস কাচের উপর সূর্য্যের কিরণ 命 {