পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᏌᏌ শ্ৰীশ্ৰীৱাককথামত—২য় ভাগ । ১৮৮৩, ১৪ই ডিসেম্বর একজন ভক্ত-টাকাকড়ির চেষ্টা ত সকলেই করছে দেখছি। কেশব সেন কেমন রাজার সঙ্গে মেয়ের বিবাহ দিলে। শ্রীরামকৃষ্ণ—কেশবের আলাদা কথা। যে ঠিক ভক্ত সে চেস্টা না করলেও ঈশ্বর তার সব জটিয়ে দেন। যে ঠিক রাজার বেটা, সে মসোহারা পায়। উকিল-ফকিলের কথা বলছি না,—যারা কষ্ট করে, লোকের দাসত্ব করে টাকা আনে। আমি বলছি, ঠিক রাজার বেটা। যার কোন কামনা নাই সে টাকাকড়ি চায় না ; টাকা আপনি আসে। গীতায় আছে—বদচ্ছোলাভ। “সদব্ৰাহ্মণ, যার কোন কামনা নাই, সে হাড়ীর বাড়ীর সিধে নিতে পারে। “যদচ্ছালাভ'। সে চায় না, কিন্তু আপনি আসে।” একজন ভক্ত—আজ্ঞা, সংসারে কি রকম করে থাকতে হবে ? শ্রীরামকৃষ্ণ—পাঁকাল মাছের মত থাকবে। সংসার থেকে তফাতে গিয়ে, নিজনে ঈশ্ববর-চিন্তা মাঝে মাঝে করলে, তাঁতে ভক্তি জন্মে। তখন নিলিপ্তি পাঁক লাগে না। সে লোক অনাসক্ত হয়ে সংসারে থাকে। ঠাকুর দেখিতেছেন, মণি বসিয়া একমনে সমস্ত শনিতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (মণিদন্টে)—তাঁর বৈরাগ্য হলে তবে ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। যার তাঁর বৈরাগ্য হয়, তার বোধ হয়, সংসার দাবানল! জবলছে! মাগ-ছেলেকে দেখে যেন পাতকুয়া! সে রকম বৈরাগ্য যদি ঠিক ঠিক হয়, তাহলে বাড়ী ত্যাগ হয়ে পড়ে। শুধু অনাসক্ত হয়ে থাকা নয়। কামিনী কাঞ্চনই মায়া। মায়াকে যদি চিনতে পার, আপনি লজায় পালাবে। একজন বাঘের ছাল পরে ভয় দেখাচ্ছে। যাকে ভয় দেখাচ্ছে সে বললে, আমি তোকে চিনিছি— তুই আমাদের হরে’। তখন সে হেসে চলে গেল—আর একজনকে ভয় দেখাতে গেল । “যত সন্ত্রীলোক, সকলে শক্তিরাপা। সেই আদ্যাশক্তিই সীrহয়ে, সন্ত্রীরাপ · ধরে রয়েছেন। অধ্যায়ে আছে—রামকে নারদাদি স্তব করছেন, হে রাম, যত পর্ষ সব তুমি ; আর প্রকৃতির যত রপে সীতা ধারণ করেছেন। তুমি ইন্দ্র, সীতা ইন্দ্রণী ; তুমি শিব, সীতা শিবাণী ; তুমি নর, সীতা নারী! বেশী আর কি বলব—যেখানে পরিষে, সেখানে তুমি ; যেখানে স্ত্রী, সেখানে সীতা। [ ত্যাগ ও প্রারখ—ৰামাচার সাধন ঠাকুরের নিষেধ ] (ভক্তদের প্রতি)—“মনে করলেই ত্যাগ করা যায় না। প্রারব্য, সংস্কার, এ সব আবার আছে। একজন রাজাকে একজন যোগী বললে, তুমি আমার কাছে বসে থেকে ভগবানের চিন্তা কর। রাজা বললে, ঠাকুর, সে বড় হবে না; আমি থাকতে পারি ; কিন্তু আমার এখনও ভোগ আছে।