পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नचिटगचवब्र-अन्क्रिब्र-मदबौन्जनिकटन लखनटण्ण ♚ीद्वाबङ्गक SBసి আসিলেন, সঙ্গে ভবনাথ ও মাল্টার। আসিয়াই, হাজরার সম্মখে আসিয়া প্ৰণাম। হাজরা চীৎকার করিয়া উঠিলেন, বলিলেন, কি করেন, কি কুরেন! ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বলিলেন, তুমি বল, যে এ অন্যায় ? হাজরা তক করিয়া প্রায় এই কথা বলিতেন, ঈশবর সকলের ভিতরেই আছেন, সাধনের বারা সকলেই ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ করিতে পারে। বেলা হইয়াছে। ভোগ আরতির ঘণ্টা বজিয়া গেল। অতিথিশালায় ব্রাহ্মণ, বৈষ্ণব, কাঙ্গাল সকলে যাইতেছে। মার প্রসাদ, রাধাকাতের প্রাসাদ, সকলে পাইবে। ভক্তেরাও মার প্রসাদ পাইবেন। অতিথিশালায় ব্রাহ্মণ কমচারীরা যেখানে বসেন, সেইখানে ভক্তেরা বসিয়া প্রসাদ পাইবেন। ঠাকুর বলিলেন, সবাই গিয়ে ওখানে খা—কেমন? (নরেন্দ্রের প্রতি) না, তুই - এখানে খাবি ?— “আচ্ছা নরেন্দ্র আর আমি এখানে খাব।” ভবনাথ, বাবরাম, মাল্টার ইত্যাদি সকলে প্রসাদ পাইতে গেলেন। প্রসাদ পাওয়ার পর ঠাকুর একটা বিশ্রাম করিলেন, কিন্তু বেশীক্ষণ নয়। ভক্তেরা বারান্দায় বসিয়া গল্প করিতেছেন, সেইখানে আসিয়া বসিলেন ও তাঁহাদের সঙ্গে আনন্দ করিতে লাগিলেন। বেলা দুইটা। সকলে উত্তরপবে বারান্দায় আছেন। হঠাৎ ভবনাথ দক্ষিণপাব বারান্দা হইতে ব্ৰহ্মচারী বেশে আসিয়া উপসিথত। গায়ে গৈরিক বস্ত্র, হাতে কমণ্ডল, মুখে হাসি। ঠাকুর ও ভক্তেরা সকলে হাঁসতেছেন। শ্রীরামকৃষ্ণ (সহস্যে)—ওর মনের ভাব ঐ কি না, তাই সেজেছে ? নরেন্দ্ৰ—ও ব্রহ্মচারী সেজেছে, আমি বামাচারী সাজি। (হাস্য)। হাজরা—তাতে পণত মকার, চকু এ সব করতে হয়। ঠাকুর বামাচারের কথায় চুপ করিয়া রহিলেন। ও কথায় সায় দিলেন না। কেবল রহস্য করিয়া উড়াইয়া দিলেন। হঠাৎ মাতোয়ারা হইয়া নত্য করিতে • লাগিলেন। গাহিতেছেন— আর ভুলালে ভুলৰ না মা, দেখেছি তোমার রাঙ্গা চরণ। [ পৰে কথা—রাজনারায়ণের চণ্ডী—নকুড় আচাষের গান ] ঠাকুর বলিতেছেন, আহা, রাজনারাণের চণ্ডীর গান কি চমৎকার। ঐ রকম করে নেচে নেচে তারা গায়। আর ওদেশে নকুড় আচায্যের গান। আহা, কি নত্য, কি গান। পঞ্চবটীতে একটি সাধন আসিয়াছেন। বড় রাগী সাধা। যাকে তাকে গালাগাল দেন, শাপ দেন! তিনি খড়ম পায়ে দিয়ে এসে উপস্থিত। সাধ বলিলেন, হিয়া আগ মিলে গা? ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ হাত জোড়