পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশৰয়-অন্দিরে—নৱেম্মদিকে উপদেশ ல் বেলা প্রায় নয়টা। ঠাকুর নিজের ঘরে বসিয়া আছেন। মনোমোহন কোন্নগর হইতে সপরিবারে আসিয়াছেন। মনোমোহন প্রণাম করিয়া বলিলেন —“এদের কলকাতায় নিয়ে যাচ্ছি।” ঠাকুর কুশল প্রশন করিয়া বলিলেন-- “আজ ১লা অগসত্য, কলকাতায় যাচ্ছ; কে জানে বাপা!” এই বলিয়া একটা হাসিয়া অন্য কথা কহিতে লাগিলেন। [নরেন্দ্রকে মগ্ন হয়ে ধ্যানের উপদেশ ] নরেন্দ্র ও তাহার বন্ধরো স্নান করিয়া আসিলেন। ঠাকুর ব্যগ্র হইয়া নরেন্দ্রকে বলিলেন, “যাও বটতলায় ধ্যান কর গে, আসন দেব?” ' নরেন্ঞ্জ ও তাঁর কয়টি ব্রাহ্মবন্ধ পঞ্চবটীমলে ধ্যান করিতেছেন। বেলা প্রায় সাড়ে দশটা। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ কিয়ৎক্ষণ পরে সেইখানে উপস্থিত; মাস্টারও আসিয়াছেন। ঠাকুর কথা কহিতেছেন— শ্রীরামকৃষ্ণ (ব্রাহ্ম ভক্তদের প্রতি)—ধ্যান করবার সময় তাঁতে মগন হ’তে হয়। উপর উপর ভাসলে কি জলের নীচের রত্ন পাওয়া যায় ? এই বলিয়া ঠাকুর মধর স্বরে গান গাহিতে লাগিলেন--- ডুব দেরে মন কালী বলে। হৃদি-রত্নাকরের অগাধ জলে। রত্নাকর নয় শান্য কখন, দাঁচার ডুবে ধন না পেলে, তুমি দম সামথ্যে একছুবে যাও, কুলকুণ্ডলিনীর কুলে। জ্ঞান-সমুদ্রের মাঝে রে মন, শান্তিরপা মুক্তা ফলে, তুমি ভক্তি করে কুড়ায়ে পাবে, শিবযক্তি মত চাইলে। • তুমি বিবেকহলদি গায়ৈ মেখে-যাও ছোবে না তার গন্ধ পেলে। রতন-মাণিক্য কত, পড়ে আছে সেই জলে, রামপ্রসাদ বলে ঝাপ দিলে, মিলবে রতন ফলে ফলে। (* [aTwvTa, * si s wsTaar*Ta (Social Reforms)— ज्राटश अॅथबब्रजाछ, नट्ब्र ८जाकभिक्रा थमान] নরেন্দ্র ও তাঁহার বন্ধগণ পঞ্চবটীর চাতাল হইতে অবতরণ করিলেন ও ঠাকুরের কাছে আসিয়া দাঁড়াইলেন। ঠাকুর দক্ষিণস্য হইয়া নিজের ঘরের দিকে তাঁহাদের সহিত কথা কহিতে কহিতে আসিতেছেন। ঠাকুর বলিতেছেন—“ডুব দিলে কুমীর ধরতে পারে, কিন্তু হলদে মাখলে কুমীর ছোঁয় না। হৃদিরত্নাকরের অগাধ জলে কামাদি ছয়টি কুমীর আছে। কিন্তু বিবেক, বৈরাগ্যরপ হলদে মাখলে তারা আর তোমায় ছোবে না। “পাণ্ডিত্য কি লেকচার কি হ’বে যদি বিবেক বৈরাগ্য না আসে। ঈশ্বর সত্য আর সব অনিত্য; তিনিই বস্তু আর সব অবস্তু; এর নাম বিবেক।