পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ(:s छैौघैोब्रामकृषकधाभङ-लब्रिथिच्छे [ ১৮৮৭, ৮ই মে গেল। আমি হয় ত কেশব সেনের সমাজে যাই। অনেক অন্যায় করিছি। আর জন্য বেতের হকুম হলো। তখন আমি হয়ত বললাম, কেশব সেন আমাকে এইরুপ বুঝিয়েছিলেন, তাই এইরুপ কাজ করেছি। তখন ঈশ্বর আবার দতদের হয়ত বলবেন, কেশব সেনকে আবার নিয়ে আয়। এলে পর হয়ত তাকে বলবেন, তুই একে উপদেশ দিছিলি ? তুই নিজে ঈশ্বরের বিষয় কিছ জানিস না, আবার পরকে উপদেশ দিছিলি ? ওরে কে আছিস-একে আর পাঁচশ বেত দে। (সকলের হাস্য)। বেত খাওয়া! (সকলের হাস্য)। আমি নিজে ঈশ্বরের বিষয় কিছল বুঝি না, আবার পরকে কি লেকচার দেবো ?” নরেন্দ্ৰ—যে এটা বোঝেনি, সে আর পাঁচটা বুঝলে কেমন করে ? মাস্টার—আর পাঁচটা কি ? নরেন্দ্ৰ—যে এটা বোঝে নাই, সে দয়া, পরোপকার বুঝলে কেমন করে ? স্কুল বুঝলে কেমন করে ? স্কুল করে ছেলেদের বিদ্যা শিখাতে হবে, আর সংসারে প্রবেশ করে, বিয়ে করে ছেলে মেয়ের বাপ হওয়াই ঠিক, এটাই বা বুঝলে কেমন করে। “যে একটা ঠিক বোঝে, সে সব বোঝে।” মাস্টার (স্বগত)—ঠাকুর বলতেন বটে যে ঈশ্বরকে জেনেছে, সে সব বোঝে।” আর সংসার করা, স্কুল করা সম্বন্ধে বিদ্যাসাগরকে বলেছিলেন যে, এ সব রজোগণে হয়। বিদ্যাসাগরের দয়া আছে বলে বলেছিলেন, এ রজোগণের সত্ত্ব। এ রজোগণে দোষ নাই।’ . খাওয়া দাওয়ার পর মঠের ভাইরা বিশ্রাম করিতেছেন। মণি ও চুনিলাল নৈবেদ্যের ঘরের পবেদিকে যে অন্দরমহলের সিড়ি আছে, তাহার চাতালের উপর বসিয়া গলপ করিতেছেন। চুনিলাল বলিতেছেন, কি প্রকারে ঠাকুরের সহিত দক্ষিণেশ্বরে তাঁহার প্রথম দশন হইল। সংসার ভাল লাগে নাই বলিয়া তিনি একবার বাহিরে চলিয়া গিয়াছিলেন ও তীর্থে ভ্রমণ করিয়াছিলেন, সেই সকল গল্প করিতেছেন। কিয়ৎক্ষণ পরে নরেন্দ্র আসিয়া কাছে বসিলেন। যোগবাশিঠের কথা হইতে লাগিল । নরেন্দ্র (মণির প্রতি)—আর বিদারথের চণ্ডাল হওয়া ? মণি—কি লবণের কথা বলছো ? ষ্ট্র নরেন্দ্ৰ—ও! আপনি পড়েছেন ? মণি—হাঁ, একট পড়েছি। নরেন্দ্ৰ—কি, এখানকার বই পড়েছেন ? --মণি-না, বাড়ীতে একটা পড়েছিলাম।