পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 08 শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণকথামৃত—৫ম ভাগ [ ১৮৮৩, ১০ই অক্টোবর শিবে সনাতনী সৰ্ব্বাণী ঈশানী সদানন্দময়ী সৰ্ব্বস্বরূপিণী ; সগুণ নিগুৰ্ণ সদাশিবপ্রিয়ে কে জানে মহিমা তোমার ! শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবাবেশে জগন্মাতার সঙ্গে কথা ঐরামকৃষ্ণ অধরের বাড়ীর দ্বিতল বৈঠকখানায় গিয়া বসিয়াছেন। ঘরে অনেক নিমন্ত্রিত ব্যক্তি আসিয়াছেন । বলরামের পিতা ও সারদাবাবু প্রভৃতি কাছে বসিয়া আছেন। ঠাকুর এখনও ভাববিষ্ট । নিমন্ত্রিত ব্যক্তিদের সম্বোধন করিয়া বলিতেছেন, *ও বাবুরা, আমি খেয়েছি, এখন তোমরা নিমন্ত্রণ থাও।” অধরের নৈবেদ্য পূজা মা গ্রহণ করিয়াছেন, তাই কি শ্রীরামকৃষ্ণ জগৎমাতার আবেশে বলিতেছেন, “আমি থেয়েছি, এখন তোমর প্রসাদ পাও?’ ঠাকুর জগন্মাতাকে ভাবাবিষ্ট হইয়া বলিতেছেন, “মা আমি খাব? না, তুমি খাবে ? মা কারণানন্দ্ররূপিণি!” শ্রীরামকৃষ্ণ কি জগন্মাতাকে ও আপনাকে এক দেখিতেছেন ? যিনি ম) তিনিই কি সস্তানরূপে লোক শিক্ষার জন্ত অবতীর্ণ হইয়াছেন ? তাই কি ঠাকুর “আমি খেয়েছি ব’লছেন ? এইবার ভাবাবেশে দেহের মধ্যে ষটচক্র, তার মধ্যে মাকে দেখিতেছেন! তাই আবার ভাবে বিভোর হইয়া গান গাইতেছেন— ভুবন ভুলাইলি মা, হর-মোহিনী মূলাধারে মহোৎপলে বীণা-বাদ্য-বিনোদিনী ! আধারে ভৈরবাকার, ষড়দলে শ্রীরাগ আর, মণিপুরেতে মহলার, বসন্ত হৃদপ্রকাশিনী। বিশুদ্ধ হিল্লোল স্বরে, কর্ণাটক আজ্ঞাপুরে, তান লয় মান সুরে ত্রিসপ্ত-সুরভেদিনী । মহামায়া মোহপাশে বদ্ধ করে। অনায়াসে । তত্ত্ব লয়ে তত্ত্বকাশে স্থির আছে সৌদামিনী ॥ শ্ৰীনন্দকুমারে কয়, তত্ত্ব না নিশ্চয় হয়, তব তত্ত্ব গুণ ত্রয় কাকী-মুখ আচ্ছাদিনী ॥