পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রীরামকৃষ্ণ, কৰ্ম্মযোগ—নয়েন্ত্র ও দরিদ্রনারায়ণ সেৰ aכסי এই গীতোক্ত কৰ্ম্মযোগ অতিশয় কঠিন। জনকাদি কৰ্ম্মের দ্বারা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ বলিতেন যে, জনক তাহার পূৰ্ব্বে নির্জনে বনে অনেক কঠোর তপস্ত করিয়াছিলেন। তাই সাধুর জ্ঞান ও ভক্তিপথ অবলম্বন করিয়া সংসার কোলাহল ত্যাগ করিয়া নির্জনে ঈশ্বর-সাধনা। করেন। তবে স্বামী বিবেকানন্দের দ্যায় উত্তম অধিকারী বীরপুরুষ কেবল এই কৰ্ম্মযোগের অধিকারী। ভগবানকে অনুভব করিতেছেন, অথচ লোক শিক্ষার জন্য প্রত্যাদিষ্ট হইয়া সংসারে কৰ্ম্ম করিতেছেন, এরূপ মহাপুরুষ পৃথিবীতে কয়টা ? ঈশ্বর প্রেমে মাতোয়ারা, কামিনীকাঞ্চনের দাগ একটিও লাগে নাই, অথচ জীবের সেবার জন্য ব্যস্ত হইয়া বেড়াইতেছেন, এরূপ আচাৰ্য্য কয়টি দেখা যায় ? স্বামীজী লগুনে ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দে ১০ই নবেম্বর বেদান্তের কৰ্ম্মযোগ ব্যাখ্যায় গীতার কথা বলিলেন— “Curiously enough the scene is laid on the battle-field where Krishna teaches the philosophy to Aryuna ; and the doctrine which stands out luminously in every page of the Gita is intense activity, but in the midst of that, enternal calmness. And this idea is called the secret of work to attain which is the goal of the Vedanta" [ Practical Vedanta, (London.) বক্তৃতায় স্বামীজী কৰ্ম্মের মধ্যে সন্ন্যাসীর ভাবের ( calmness in the midst of activity' ) কথা বলিয়াছেন। স্বামী ‘রাগদ্বেষ বিবর্জিত’ হইয়া কৰ্ম্ম করিতে চেষ্টা করিতেন। তিনি যে এরূপ কৰ্ম্ম করিতে পারিতেন, সে কেবল তার তপস্তার গুণে, তার ঈশ্বরাচুভূতির বলে। সিদ্ধপুরুষ অথবা শ্ৰীকৃষ্ণের ন্যায় অবতারপুরুষ না হইলে এই স্থিরতা ( calmness ) হয় না।