পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিমুলিয়া ব্রাহ্মসমাজের মহোৎসবে শ্রীরামকৃষ্ণ २byās বড করা যায় না । ভগবান যাকে বড় করেন, বনে থাকলেও তাকে সকলে জানতে পারে। গভীরবনে ফুল ফুটেছে, মৌমাছি কিন্তু সন্ধান করে যায়। অন্ত মাছি সন্ধান পায় না। মাকুম কি করবে। মানুষের মুখ চেয়ে না— লোকৃ পোক্ ! যে মুখে ভাল বলছে, সেই মুখে আবার মন্দ বলবে। আমি মান্তগণ্য হতে চাই না। যেন দীনের দীন, হীনের হীন হয়ে থাকি। ঐযুক্ত সুরেন্দ্রের বাড়িতে ঠাকুর ত্রীরামকৃষ্ণ যখন শুভাগমন করেন ‘আষাঢ় মাসের একদিন ১৮৮১ খৃঃ তখন শ্রীযুক্ত কেশবের আসিবার কথা ছিল —কিন্তু তিনি আসিতে পারেন নাই । তিনি প্রথম পুত্র ও দ্বিতীয় কন্যার বিবাহ দিবার উদ্যোগ করিতেছিলেন।

  • ১লা শ্রাবণ ১৫ই জুলাই ১৮৮১ শুক্রবার কেশব তাহার জামাত। কুচবিহারের মহারাজার জাহাজে ( Steam Yacht ) করিয়া অনেক ব্রাহ্মভক্ত লইয়া কলিকাতা হইতে সোমড় পর্য্যন্ত বেড়াইয়াছিলেন। পথে দক্ষিণেশ্বরে জাহাজ থামাইয়া পরমহংসদেবকে তুলিয়া লইলেন—সঙ্গে হৃদয় ।

জাহাজে কেশব ত্ৰৈলোক্য প্রভৃতি ব্রাহ্মভক্তগণ, কুমার গজেন্দ্রনারায়ণ, নগেন্দ্র প্রভৃতি। নিরাকার ব্রহ্মের কথা কহিতে কহিতে শ্রীরামকৃষ্ণ সমাধিস্থ হইলেন। শ্ৰীযুক্ত ত্ৰৈলোক্য সান্তাল গান গাহিতেছেন ও খোল, করতাল বাজিতেছে । সমাধিভঙ্গের পর ঠাকুর গাহিতেছেন— শু্যামা মা কি কল করেছে। D চোঁদপুয়া কলের ভিতরি কত রঙ্গ দেখাতেছে । [ ১২৭ পৃষ্ঠা জাহাজ ফিরিবার সময় ঠাকুরকে দক্ষিণেশ্বরে নামাইয়া দেওয়া হইল । কেশব আহিরীটোলা ঘাটে নামিলেন—মসজিদবাড়ী ষ্ট্রীট দিয়া পদব্রজে শ্ৰীযুক্ত কালীচরণ ব্যানাজ্জার বাড়ীতে নিমন্ত্রণে যাইবেন।

  • খ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্র এই বিবরণ মাষ্টারকে দু তিনমাস পরে বলিয়াছিলেন। বলিবার কয়েক মাস পরে মাষ্টার ঠাকুরকে প্রথম দৰ্শন করেন, ফেব্রুয়ারী ১৮৮২ খৃঃ ।
  • S