পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত পঞ্চম ভাগ.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 শ্ৰীশ্ৰীরামকৃষ্ণ কথামৃত—৫ম ভাগ ( ১৮৮২, নভেম্বর ১৬ পাছে যেমন গাভী ধায় সেইরূপ তিনি ভক্তের পাছে পাছে যান।” ঠাকুর গান গাহিতেছেন— যে ভাব লাগি পরম যোগী, যোগ করে যুগযুগান্তরে। হলে ভাবের উদয় লয় সে যেমন লোহাকে চুম্বক ধরে । “চৈতন্যদেবের কৃষ্ণ নামে অশ্র পড়ত। ঈশ্বরই বস্তু আর সব অবস্তু। মানুষ মনে করলে ঈশ্বর লাভ করতে পারে। কিন্তু কামিনী-কাঞ্চন, ভোগ কত্তেই মত্ত। মাথায় মাণিক রয়েছে তবু সাপ ব্যাঙ খেয়ে মরে ! “ভক্তিই সার। ঈশ্বরকে বিচার করে কে জানতে পারবে। আমার দরকার ভক্তি। তার অনন্ত ঐশ্বৰ্য্য ; অত জানবার আমার কি দরকার ? এক বোতল মদে যদি মাতাল হই তড়ির দোকানে কত মণ মদ আছে সে খবরে আমার কি দরকার ? এক ঘটি জলে আমার তৃষ্ণার শাস্তি হতে পারে ; পৃথিবীতে কত জল আছে সে খবরে আমার প্রয়োজন নাই।” [ সুরেঞ্জের দাদা ও সদরওয়ালার পদ—জাতিভেদ—Caste system and problem of the Untouchable solved : Theosophy. J শ্রীরামকৃষ্ণ এইবার সুরেন্দ্রের বাড়িতে আসিয়াছেন। আসিয়া দোতলার বৈঠকখানায় বসিয়া আছেন । সুরেন্দ্রের মেজভাই সদরওয়ালা, তিনিও উপস্থিত ছিলেন। অনেক ভক্ত ঘরে সমবেত হইয়াছেন। ঠাকুর সুরেঞ্জের , দাদাকে বলিতেছেন, “আপনি জজ, তা বেশ ; এটি জানবেন সবই ঈশ্বরের শক্তি। বড় পদ তিনিই দিয়েছেন, তাই হয়েছে। লোকে মনে করে আমরা বড়লোক ; ছাদের জল সিংহের মুখওলা নল দিয়ে পড়ে, মনে হয় সিংহটা মুখ দিয়ে জল বার কচ্ছে । কিন্তু দেখ কোথাকার জল । কোথা আকাশে মেঘ হয়, সেই জল ছাদে পড়েছে, তারপর গড়িয়ে নলে যাচ্ছে ; তারপর সিংহের মুখ দিয়ে বেরুচ্ছে!” সুরেজের ভ্রাতা—মহাশয়, ব্রাহ্মসমাজে বলে স্ত্রী-স্বাধীনতা, জাতিভেদ উঠিয়ে দাও ; এ সব আপনার কি বোধ হয় ? - স্ত্রীরামকৃষ্ণ—ঈশ্বরের উপর নুতন অনুরাগ হলে ঐ রকম হয়। ঝড় এলে