পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দক্ষিণেশ্বরে । অমৃত, ত্ৰৈলোক প্রভূতি ভক্ত সঙ্গে । Եr(ի বাৎসল্যভাবে দেখিতে লাগিলেন ও ‘গোবিন্দ’ ‘গোবিন্দ এই নাম প্রেমভরে উচ্চারণ করিতে লাগিলেন । শ্ৰীকৃষ্ণকে দেখিয়া যশোদার যে ভাবের উদয় হইত, এ বুঝি সেই ভাব ! ভক্তেরা এই অদ্ভুত ব্যাপার দর্শন করিতেছেন, এমন সময়ে সব স্থির । গোবিন্দ নাম করিতে করিতে ভক্তাবতার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের সমাধি হইয়াছে : শরীর চিত্রাপিতের ন্যায় স্থির । ইন্দ্রিয়গণ কাজে জবাব দিয়া যেন চলিয়া গিয়াছে । নাসিকাগ্রে দৃষ্টি স্থির । নিশ্বাস বহিছে, কি না বহিছে । শরীরমাত্র ইহলোকে পড়িয়া আছে | আত্মাপক্ষী বুঝি চিদাকাশে বিচরণ করিতেছে । এতক্ষণ যিনি সাক্ষণং মায়ের ন্যায় সস্তানের জন্য ব্যস্ত হইয়।ছিলেন, তিনি এখন কোথায় ? এই অদ্ভুত ভাবাস্তরের নাম কি সমাধি ? এই সময়ে গেরুয়াকাপড়পরা অপরিচিত একটা বাঙ্গালী আসিয়া উপস্থিত হইলেন ও আসন গ্রহণ করিলেন । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । কৰ্ম্মেন্দ্রিয়ানি সংযম্য য আস্তে মনসা স্মরন । ইন্দ্রিয়াথান বিমূঢ়াত্ম। মিথ্যাচার: স উচ্যতে । গীত, ৩, ৬ । পরমহংসদেবের সমাধি ক্রমে ভঙ্গ হইতে লাগিল । ভাবস্থ হইয়াই কথা কহিতে লাগিলেন । আপন আপনি বলিতে লাগিলেন— { গেরুয়াবসন ও সন্ন্যাসী । ] শ্রীরামকৃষ্ণ । ( গেরুয়াদৃষ্টে ) আবার গেরুয়া কেন ? একটা কি পরলেই হ’লে! ! ( হাস্ত ) একজন ব’লেছিল, "চণ্ডী ছেড়ে হলুম ঢাকী !”—জাগে চণ্ডীর গান গাইতে, এখন ঢাক বাজায় । ( সকলের হাস্য )। “বৈরাগ্য তিন চার প্রকার আছে। সংসারের জালায় জলে গেরুয়াবসন প’রেছে—সে বৈরাগ্য বেশী দিন থাকে না । হয় ত কৰ্ম্ম নাই,—গেরুয়া প’রে কাশী চ’লে গেল। তিন মাস পরে ঘরে পত্র এলে, “আমার একটি কৰ্ম্ম হইয়াছে, কিছু দিন পরে বাড়ী যাইব, তোমরা ভাবিত হইও না । আবার সব আছে, কোন অভাব নাই, কিন্তু কিছু ভাল লাগে না । ভগবানের জন্ত একল একলা কাদে । সে বৈরাগ্য যথার্থ বৈরাগ্য । "মিথ্যা কিছুই ভাল নয়। মিথ্য ভেক্‌ ভাল নয় । ভেকের মত যদি