পাতা:শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত প্রথম ভাগ.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিতির ব্রহ্মসমাজ পুনৰ্ব্বার ৰশন هد« : স্বর্গেতে পাগলের মেলা, যেমন গুরু তেমনি চেলা প্রেমের খেলা কে বুঝতে পারে । । তুই প্রেমে উন্মাদিনী, ওমা পাগলের শিরোমণি, প্রেমধনে কর মা ধনী, কাঙ্গাল প্রেমদাসেরে । , গান শুনিতে শুনিতে ঠাকুর স্ত্রীরামকৃষ্ণের ভাবাস্তর হইল। একেবারে সমাধিস্থ—‘উপেক্ষিয় মহত্তত্ব, ত্যজি চতুবিংশ তত্ব, সৰ্ব্বতত্ত্বাতীত তৰ দেখি আপনি আপনে । কৰ্ম্মেন্দ্রিয়, জ্ঞানেন্দ্রিয়, মন, বুদ্ধি, অহঙ্কার সমস্তই যেন পুছিয়া গিয়াছে। দেহমাত্র চিত্ৰপুত্তলিকার ন্যায় বিদ্যমান। একদিন ভগবান পাগুবমাথের এইরূপ অবস্থা দেখিয়া যুধিষ্টিরপ্রমুখ শ্ৰীকৃষ্ণগতান্তরাত্মা পাণ্ডবগণ কাদিয়াছিলেন । তখন আর্য্যকুলগৌরব ভীষ্মদেব শরশয্যায় শায়িত থাকিয়া অভিষ্মকালে ভগবানের ধ্যাননিরত ছিলেন। তখন কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ সবে সমাপ্ত হইয়া গিয়াছে। সহজেই কাদিবার দিন। শ্ৰীকৃষ্ণের এই সমাধি প্রাপ্ত অবস্থা বুঝিতে না পারিয়া পাণ্ডবেরা কাদিয়াছিলেন ; ভাবিয়াছিলেন, তিনি বুঝি দেহত্যাগ করিলে ' দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । [ হরিকথা প্রসঙ্গে । ] . . . . . কিয়ৎক্ষণ বিলম্বে ঠাকুর ঐরামকৃষ্ণ কিঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া ভাবাবস্থায় ব্ৰাহ্ম ভক্তদের উপদেশ দিতে লাগিলেন । এই ঈশ্বরীয় ভাব খুব ঘনীভূত ; যেন বক্তা মাতাল হইয়া কি বলিতেছেন। ভাব ক্রমে ক্রমে কমিয়া আসিতেছে, অবশেষে পুর্বের ঠিক সহজাবস্থা। '; . [ আমি সিদ্ধি খাব। গীতা ও আইসিদ্ধি। ] । শ্রীরামকৃষ্ণ (ভাবস্থ) । মা ! কারণানন্দ চাই না। সিদ্ধি খাব । । “সিদ্ধি কিনা বস্তু লাভ। অষ্টসিদ্ধির সিদ্ধি নয়। সে ( অণিমা লঘিমাদি) সিদ্ধির কথা কৃষ্ণ অৰ্জুনকে বলেছিলেন, ‘ভাই, যদি দেখ যে, অষ্টসিদ্ধির একটা সিদ্ধি কারও আছে, তাহলে জেনে যে, সে ব্যক্তি আমাকে পাবে না। কেন না, সিদ্ধাই থাকলেই অহংকার থাকবে, আর অহংকারের লেশ থাকলে ভগবানকে পাওয়া যায় না । - - - “আর এক আছে, প্রবর্তক, সাধক, সিদ্ধ, সিদ্ধের সিদ্ধ । ষে ব্যক্তি সবে