o t r বীর রসে ভক্ত ওরা, & - অন্ত খণ্ড । ভরত কহিছে কথা, ডঙ্কিনী লুকা’ল কোথা, প্রভু কহে পালিয়া গিয়াছে। থাকে যদি এ বাড়ীতে, রহিবেক গোপনেতে, আর না আসিবে তব কাছে ॥ ভরত কহে প্রভুরে, আসিলে না রেখ ওরে, আসতে আসিতে দেহ পথ । আর বা কহিব কারে, মহাপ্রভু তুমিও অসৎ ॥ যথ ভরত রহিত, ঠাকুর কহিত সে শান্তরে ॥ যেওনা ভরত ঠাই, গেলে আর রক্ষা নাই, গেলে বাছ। বাচাবেন তোরে ॥ দেশোয়ালী রাজপুত, ন। মানে যমের দূত, দেব দৈত্য যমে নাহি মানে। শুকুমানে সূক্ষ্ম ধৰ্ম্ম, আর মানে গুরু ব্ৰহ্ম, , or ওরে ভয় করি মনে ॥ সদা প্রেমে মাতোয়ার], ভক্তি গুণে ল’য়েছে বধিয়ে । বীর রসে ভক্তি ডোরে, বেঁধে নিয়াছে আমারে, আমি অাছি ওর বাধ্য হ’য়ে ॥ ভরত হইল শান্ত, এইভাবে থাকে শান্ত, - পলাইয়া দেখা নাহি দিল । ভরতের মহাক্রোধ, ঠাকুর দিল প্রবোধ, কবি রসরাজ বিরচিল ॥ ভক্ত রামধনের দর্পচূর্ণ। পয়ার } একদিন রামধন বাহির প্রাঙ্গণে । ধান্ত রাশী ভাঙ্গি গরু জুড়িল মলনে । চারিট বলদ এনে আগে তাহ ছাদে। আর এক বক না গাভী তার সঙ্গে বাধে ॥ পাচট গরুতে ধান্য করিছে মর্দন । এই ভাবে গরু ঘুরাইছে রামধন ॥ রাজ জী যাইতে ঘাটে দেখিলেন তাই । ক্রোধে পরিপূর্ণ হ’ল রাজ-জী গোসাই ॥ বলে ওরে ধন। কানা করিলি কি কৰ্ম্ম । বড় অধাৰ্ম্মিক তুই নাহি কোন ধৰ্ম্ম ॥ এই বাড়ী থাকিস্ শ্ৰীধাম বৃন্দাবনে । সুন্নভী মাতাকে কেন জুড়িলি মলনে ॥ [ २१ ] স্থান দেহ অসতেরে, , শান্ত নাহি তথা যেত, পূৰ্ব্ব জন্মে মহামহাপাপ আচরিলি । এবার সে পাপ জন্য অন্ধ হ’য়ে ব্ল’লি ৷ নয়ন বিহীন তুই এখানে আইলি । ঠাকুরের কৃপা দৃষ্ঠে দৃষ্টি শক্তি পেলি ॥ দৃষ্টি কম চক্ষু তোর প্রস্ফুটিত নয়। কম দৃষ্ট তবু তোর কৰ্ম্ম চলে যায় ॥ তোর এই অত্যাচার করা কি উচিত । নয়ন বিহীন তোর কৰ্ম্ম বিপরীত ॥ ছেড়েদে সুরভী মাকে ওরে বেটা আঁধা । মহাপাপ হইয়াছে সুরভীকে বাধা ॥ এত বলি যায় সুরভীকে ছেড়ে দিতে। রামধন বলে বল কি দেয ইহাতে ॥ এত শুনিসাধু হ’ল ক্রোধে পরিপূর্ণ। ঠেঙ্গ নিল রামধনে মারিবার জন্য । রামধন মলন ছাড়িয়া পলাইল । মলনের বক্লা সাধু ছাড়াইয়। দিল ॥ কোথা গেল আঁধা পাপী মারিব উহারে । মোর হাত এড়ায়ে পালাবে কোথাকারে ॥ আজ তোরে বিনাশিব ওরে দুরাশয়। অদ্য পলাইলি কল্য যাইবি কোথায় ॥ তর্জন গজ্জন করি করেন চিৎকার । ক্রোধে রক্তবর্ণ চক্ষু বহে অশ্রুধার ॥ ঘোর শব্দ শুনি মহাপ্রভু তথা এল । স্তুতিবাক্যে রাজজীকে তখনে শান্তা’ল ৷ এই কাৰ্য্য করে বেট। বড় দুষ্ট খল। স্বরভী মলনে ছাদে আরো করে ছল ॥ আমি আছি গৃহমাঝে পুরীর ভিতরে । দেখি নাই হেন কৰ্ম্ম যে সময় করে ॥ দুষ্কার্য্য করেছে আরো তোমা ক্রোধ করে । যেমন মানুষ শাস্তি না হ’লে কি সারে ॥ রাজঙ্গী বলেন এই পাপীষ্ঠ অসৎ । হেন দুষ্টে স্থান দেও তুমিও অসৎ ॥ প্রভু বলে সত্য সত্য আছে মোর পাপ । আমি করিয়াছি পাপ মোরে কর মাপ ॥ রাজজী বলেন বটে মাপ যদি চাও। আঁধা আর ডঙ্কিনীকে তাড়াইয়া দেও। প্রভু বলে তাড়াইব চলে যাবে ওরা। পতিতপাবন নাম বৃথা হ’ল ধরা ॥ ঠাকুর ডাকেন আয় আয় রামধন। ধর এসে রাজজীর যুগল চরণ ॥
পাতা:শ্রীশ্রীহরি লীলামৃত.djvu/২১৮
অবয়ব