পাতা:শ্রীহংসদূতকাব্যম্‌.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঐহংসদূতম্ * তচ্চুজং ধষ্ঠালোকে — "অপারে কাব্য-সংসারে কবিরেব প্রজাপতিঃ । যথাস্মৈ রোচতে বিশ্বং তথেদং পরিবর্ততে ॥ শৃঙ্গারী চেং কবিঃ কাব্যে জাতং রসময়ং জগৎ । স এব বাঁতরাগশ্চেরীরসং সর্বমেব তত ॥’ অলমতিবিস্তরেণ । ২ ॥ অনুবাদ । যখন গোপীগণের হৃদয়ানন্দ শ্ৰীকৃষ্ণ অক্রেরের অনুরোধে র্তাহার অনুসরণ পূৰ্ব্বক শ্ৰীনন্দভবন হইতে মথুরায় গমন করিলেন, তখন ঐরাধিক বিরহ-কাতর হইয়া নিবিড় আবর্তময় অগাধপীড়াপূর্ণ চিন্তানদীতে মগ্ন হইলেন । এই শ্লোকের তাৎপৰ্য্য ‘আনন্দ চল্লিকা’ টীকার ভাবলম্বনে ব্যাখ্যা করা যাইতেছে — ঐরাধিক মনে চিন্তা করিলেন যে, সন্তাপ জালায় দগ্ধীভূত প্রাণসমূহ কি আশা-পাশে বদ্ধ করিয় রক্ষা করিব ? কিম্বা আশ-পাশ হইতে মুক্ত করিয়া ত্যাগ করিব ? আমি কি অগ্নিতে অথবা যমুনায় প্রবেশ করিব ? যদি এইরূপ করি তবে শ্ৰীকৃষ্ণ ব্রজে আগমন করিয়া আমাকে দেখিতে না পাইয়া কিরূপ দশা প্রাপ্ত হইবেন ? আমার শোকে হয়ত তিনি প্রাণত্যাগ করিবেন অথবা অন্ত কোন যুক্তি স্বারা প্রাণ রক্ষা করিবেন । হায় ! হায় ! সেই মহাপ্রেমী কি প্রকারে প্রাণ রক্ষা করিতে সমর্থ হইবেন ? হায়, আমি পরিণামদশিনী হইলেও কিরূপে মরিতে পারি ? সেই জন্ত আমি মরিব না । তদীয় স্বন্দর মুখমণ্ডল আমি পুনর্বার দেখিব। যদি বিরহসন্তাপানল আমাকে ভস্মীভূত না করে, তাহা হইলে আমি জীবন ধারণ করিতে সমর্থ হই,—এইরুপ মনে করিয়া চিন্তার নদীতে তিনি মগ্ন হইলেন । এখানে ইরাধিকার নিরুপাধি প্রেমের মাহাত্ম্যই অভিব্যক্ত হইয়াছে।