পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত (উত্তরাংশ) - অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম অধ্যায় : বিবিধ স্থানের বিভিন্ন বংশ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত ২৬৭ রামচন্দ্রমিত্র কানুনগো ছিলেন, তাহার প্রাণবল্লভ, হরিবল্লভ ও কৃষ্ণবল্লভ নামে তিন পুত্র হয়। রামচন্দ্রের অবৰ্ত্তমানে তাহার জ্যেষ্ঠ পুত্র প্রাণবল্লভ কানুনগো নিযুক্ত হন। প্রাণবল্লভের মৃত্যুর পর তাহার পুত্র জগদ্বল্লভ “সরবরাহির" অনুপযুক্ত ছিলেন। হরিবল্লভের পুত্র রাজবল্লভ (জগদ্বল্পভের খুল্লতাত ভ্রাতা) তখন নিজ পুত্রের নামেই সরবরাহি প্রার্থনা করেন এবং তাহাতে তৎপুত্র রামপ্রসাদ কানুনগোই সনন্দ প্রাপ্ত হন। এ সনন্দ যে ইংরেজ আমলের নিযুক্ত নবাব প্রদত্ত, সনন্দেই তাহার নিদর্শন আছে ২৬ রাম প্রসাদের কনিষ্ঠ পুত্রের নাম কৃষ্ণগোবিন্দ তৎপুত্র শ্ৰীযুত কুঞ্জগোবিন্দ মিত্র কানুনগো বৰ্ত্তমান আছেন। এ বংশের ইষ্টদেবতা স্বগীয় বাসুদেবের “সেবায় ব্যয় বাবত” পূজক গঙ্গারামের নামে দুইখানা (নং ১১০/১১১) সনন্দে যথাক্রমে ১৮ টাকা ও ১০ টাকা বৃত্তি মঞ্জুর ছিল। গঙ্গারামের পুত্র ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত উহা আদায় করেন। তাহার মৃত্যুর পর উহা রহিত হইয়া যায়। পূৰ্ব্বোক্ত জগদ্বল্পভের পুত্র খুশাল রায় এবং তৎপুত্র রাধাগোবিন্দের যুক্ত নামে তালুক আছে রমা প্রসাদের জ্যেষ্ঠ পুত্র গঙ্গাপ্রসাদের প্রপৌত্র ডাক্তার শ্রীযুক্ত গুরু প্রসাদ মিত্র হইতে আমরা তাহার পূৰ্ব্বপুরুষ প্রাপ্ত দলিলাদির নকল ও বিবরণ প্রাপ্ত হইয়াছি। ২৬. সনদের মৰ্ম্মানুসারে ইহা লিখিত হইল, বাহুল্যবোধে বৃহৎ পারস্য সনদেব বঙ্গানুবাদ দেওয়া গেল না; সানন্দে “তপ্পে ইজ্জতাবাদ ও তল্পে উত্তরভাগ মোতালিকে পরগণে লংলা'ব কানুনগো পদের লিখিত আছে: ৩৩ জলুসে উক্ত সনন্দ প্রদত্ত হয় ।