পাতা:শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত - উত্তরাংশ.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮৯ ষষ্ঠ অধ্যায় : বৈদ্য ও কায়স্থাদির কথা এ শ্ৰীহট্টের ইতিবৃত্ত শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত দ্বিতীয় ভাগে ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গে স্থানে স্থানে উক্ত হইয়াছে দেওয়ান মাণিকচাদের পুত্র বাবু মুরারিচাদের ও তদীয় দৌহিত্রের কথা ৪র্থ ভাগে কথিত হইবে। उयांश्यन्निशां প্রসিদ্ধ দস্তিদার বংশের কাহিনী আমরা পূৰ্ব্বেই বর্ণন করিয়াছি, ৪র্থ ভাগে তদ্বংশীয় দয়ালকৃষ্ণের কথা কথিত হইবে। এ বংশীয় সুবিদরায়ের নামানুসারে “সুবিদরায়ের গৃধা” বলিয়া যেমন র্তাহার বাসস্থান পরিচিত, আখালিয়াতেও তদ্রুপ “চান্দরায়ের গৃধা” ও “রাজেন্দ্ররায়ের গৃধা” নামে দুই মহলা আছে। চাদরায় ও রাজেন্দ্ররায় উভয়েরই মজুমদার উপাধি ও কানুনগো পদ ছিল। রাজেন্দ্ররায়ের আলম্বায়ন গোত্র ও পাল পদ্ধতি ছিল;সাধারণতঃ রাজরাম নামে খ্যাত ছিলেন ইনি আখালিয়ার মজুমদারগণের এক বংশে পূৰ্ব্ব-পুরুষ। আখালিয়ার মেনশী দেবীপ্রসাদ রায় ইউরোপীয় শিক্ষার্থীর জন্য Poly glotd Grammar প্রণয়ন করেন। ঐ গ্রামার পারস্য, আরবিক, হিন্দি, উর্দু, বাঙ্গালা ও ইংরেজী ভাষায় সঙ্কলিত হয়। এই গ্রন্থ বিদ্বজ্জন কর্তৃক সমাদৃত হইয়াছিল। দেবীপ্রসাদের ভ্রাতার পৌত্ৰ বৰ্ত্তমান আছেন। আখালিয়াতেই “বিদ্যোদয়” প্রণেতা জয়গোপালের জন্ম। একখানা দানপত্র ইহাতে জ্ঞাত হওয়া যায় যে, তদীয় পিতামহ শোভারাম ১১৭০ বঙ্গাব্দে স্বীয় কুলদেবতা স্বগীয় মদনমোহনের নামে ৫/ হাল ভূমি দেবত্র প্রদান করেন। শোভারামের তিন পুত্র,—লালা জয়কৃষ্ণ, রামসুন্দর ওরফে জীবনকৃষ্ণ ও জয়নারায়ণ। তন্মধ্যে জয়কৃষ্ণ ইংরেজ শাসনের প্রারম্ভে ঢাকা জলালপুর জেলার কালেক্টাবের দেওয়ান হইয়া প্রভূত অর্থ ও ভূসম্পত্তি অৰ্জ্জন করেন এবং বাড়ীর বহির্ভাগে এক শিব মন্দির প্রতিষ্ঠিত করেন, এই ভ্রাতৃত্ৰযের সবর্বকনিষ্ঠ জযনাবায়ণের জ্যেষ্ঠ পুত্রই জয়গোপাল। জযগোপাল পারস্যভাষায় ব্যুৎপন্ন হইযা মোনশী নামে খ্যাত হন। আসাম ইংরেজাধীন হইলে জয়গোপাল তথায় গমন করেন, তিনি তত্ৰত্য জুডিসিয়াল কমিশনার মেথী সাহেবের পেস্কার ছিলেন। মের্থ সাহেব এক বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছিলেন। ঐ বিদ্যালয়ের বালকবর্গকে উপদেশ দিবার জন্য মের্থ সাহেবের অনুরোধে “বিদ্যোদয়” গদ্যে রচিত হয়। যখন বিদ্যাসাগর মহাশয়ের গদ্য গ্রন্থগুলি প্রকাশিত হয় নাই, “বিদ্যোদয়” সেই সময়ে বিরচিত হইয়াছিল, সুতরাং সাহিত্যিক হিসাবে ইহার মূল্য আছে। জয়গোপাল পেস্কারী হইতে সেরেস্তাদারের পদ লাভ করেন ও পরে গোয়ালপাড়ার সদর আমীনের পদ প্রাপ্ত হন। ইহার প্রতিষ্ঠিত একটি সেতু ও এক শিবমন্দির অদ্যাপি আছে। লালা জয়কৃষ্ণ, জীবনকৃষ্ণ এবং জয়নারায়ণেব বংশধরবর্গ সসম্মানে আখালিয়াতে বাস করিতেছেন।-- শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশে (২য় ভাগ ৫ম খণ্ড ১ম অধ্যায) ইংরেজ আমলের প্রথমকার পুণ্যাহ প্রথার কথা কথিত হইয়াছে, আখালিযার শ্রীযুক্ত গোকুলনাথ চৌধুরীর পূৰ্ব্বপুরুষই পুণ্যহে “পুষ্পচন্দন” প্রাপ্ত হইতেন। আখালিয়াব সাহুবংশে ইহারাই শ্রেষ্ঠ, মর্যাদায়ও ইহারা শ্রেষ্ঠ । ৯ শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূৰ্ব্বাংশ ২য় ভাগ ২য খণ্ড ৪র্থ অধ্যায দ্রষ্টব্য। ১০ উকীল শ্রীযুক্ত অম্বিকাচৰণ দাস, এম এ বি এল. প্রভূতি জীবনকৃষ্ণের প্রপৌত্র স্থানীয।