পাতা:সতুর মা.djvu/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলক্ষণ নূতন গহনা নাই, পরণে সে লাল চেলি নাই, পূর্বরাত্রের সে মাথাপোরা সিঁদুর, হাতপোরা শাখা লোহা নাই, পায়ে সে টুকটুকে আলতা নাই, যেন কে জোর করিয়া ধুইয়া মুছিয়া সব সাদা করিয়া দিয়াছে একেত শোভনাকে সকলে অপয়া বলিয়াই জানিত, আবার আজ হইতে তাহার শোভনা নামের সহিত অলক্ষণ নামও অনেকটা যেন অবিচ্ছেদে সংযুক্ত হইয়া রহিল ; একেত সে লোকের উপেক্ষ বহন করিয়াই চলিতেছিল, এখন এই ঘটনায় সে লোকের আরও বৃণার পাত্রী হইল । সে জানিত কেহ তাহাকে ভালবাসে ন; কিন্তু, এমন ভাবে কেন সকলে তাহাকে এড়াইয়া চলিতে চায়, শুভকৰ্ম্মের দিক হইতে সযত্নে কেন তাকে এত দূরে রাখে, হঠাৎ তাহার নিশ্বাস কাহারও গায়ে লাগিলে কেন এমন শিহরিয়া উঠে, তাহ সে কোন মতেই ঠিক বুঝিতে পারিত না । মাকে জিজ্ঞাসা করিলে, মা কেবল তাহাকে বুকে চাপিয়া ধরিয়া আঁচলে চোখ মুছেন, কখন বা পাগলের মত আকাশের দিকে চাহিয়া থাকেন, শোভন শত প্রশ্ন করিয়াও উত্তর পায় না, তবে আর সে কাহাকে জিজ্ঞাসা করিবে ? কে বলিয়া দিবে ? অার, কাহার নিকটেই বা সে সাহস করিয়া জিজ্ঞাসা করিতে যাইবে ? ১৩২