পাতা:সতুর মা.djvu/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলক্ষণ তিনি রোগটা কাহাকেও জানিতে দেন নাই, শেষ যখন সকলে বুঝিতে পারিল তখন আর প্রতীকারের উপায় ছিল না। এত বড় কঠিন রোগে, একবিন্দু ঔষধও গলাধঃকরণ না করিয়া রোগ যন্ত্রণার চিহ্নমাত্র প্রকাশ না করিয়া নীরবে প্রসন্নমনে তিনি চিরসুহৃদের মত মৃত্যুকে বরণ করিয়া লুইলেন। কিন্তু মৃত্যুর পূর্ব মুহূৰ্ত্তে শোভনার ভবিষ্যৎচিন্তা তাহাকে আকুল করিয়া তুলিল, তিনি নিশ্চয় বুঝিয়া ছিলেন, তাহার অবর্তমানে এই পিতৃমাতৃহীনা বিধবা বালিকার চোখের জল মুছাইবার সাহস এগ্রামে কাহারও হইবে না, পাছে অলক্ষণার সংস্পর্শে অমঙ্গল ঘটে ! তিনি ভাবিলেন শোভনা তাহার বক্ষচ্যুত হইয়া দিবাবসানে স্নান কমলের মত হয়ত বা ঝরিয়া পড়িবে, কেহ তাহার দিকে একবার ফিরিয়াও চাহিবে না। তাই তিনি পৃথিবী হইতে চিরবিদায় লইবার পূর্বে একবার তাহার শৈশবসঙ্গিনী বিমলার হাত দুটা ধরিয়া ভয়ে ভয়ে বলিলেন— “সই ! তুই কি আমার অলক্ষণ মেয়েটকে আমার দুঃখিনী শোভনাকে তোর ঘরে একটু স্থান দিবি বোন ? ওর একটা বিলি না হলে যে আমার মরণেও সুখ হবেনা ” আসন্নমৃত্যু শৈশবসঙ্গিনীর করুণ কণ্ঠের এই কাতর অনুনয়ে বিমলার হৃদয় বিচলিত হইল। কিন্তু তিনি বড় 8סיכי