পাতা:সতুর মা.djvu/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অলক্ষণ আপনি মুহূৰ্ত্তের জন্য ক্লান্তি বোধ করেন না ।” ধাত্রী হাসিয়া বলিলেন—“ক্লান্তি কিসের ডাক্তার রায় ? এই ত আমাদের কাজ, এ কাজে নিজের শরীর দেখতে গেলে চলে না।” s ঈশ্বরের আশীৰ্ব্বাদ, ডাকারের সুচিকিৎসা ও ধাত্রীর সেবাগুণে অবশেষে নয়নতারা রোগমুক্ত হইল। নয়নতারাকে সম্পূর্ণ সুস্থ, এমন কি, সংসারের কার্য্যক্ষম দেখিয়া একদিন মিসেস মুখাজাঁ তাহার নিকট বিদায় প্রার্থনা করিলেন। বিদায় মুহূৰ্বে ধাত্রীর রক্তহীন পাংশুমুখ শীর্ণ দেহ ও নিম্প্রভ নয়ন দেখিয়া নয়নতারা নিজের রোগই ইহার কারণ ভাবিয়া ব্যথিত হইল। ধাত্রীর ঋণ অপরিশোধনীয় বুঝিয়াও কৃতজ্ঞতার চিহ্নস্বরূপ মন্মথ তাহাকে যাহা দিতে আসিলেন, সুমিষ্ট বাক্যে সবিনয়ে তাহ র্তাহাকেই প্রত্যপণ করিয়া ধাত্রী বিদায় গ্রহণ করিলেন। দুঃখিত মন্মথনাথের কথার উত্তরে পরদিন ডাক্তার রায় হাসিয়া বলিলেন—“মিসেস মুখার্জীর উহাও আর একটি বিশেষত্ব, উনি যে রোগী হাতে নেন, প্রাণ দিয়ে তার সেবা করেন, কিন্তু কখন একটি পয়সা নেন না, বরং অনেক সময় অসমর্থ দরিদ্র রোগীদের নিজের পয়সায় পথ্য পৰ্য্যন্ত জুগিয়ে প্রাণপণে সেবা করে, তাকে রোগমুক্ত Y (to