পাতা:সতুর মা.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হালির ধূমকেতু বলিলেন—“সেই ভাল বেণী । যেমন কলেজে পড়চ তেমনি পড়। মিছামিছি এত দূরে চাকরী করতে যাবার আবশ্বক নাই ! আমার কাছে থেকে ওকালতিতে পরে তুমি ঢের বেশী উপার্জন করতে পারবে । এরই মধ্যে এত তাড়া কিসের ? সংসারের ভার তো আমার উপর, সে জন্য তো তোমায় কিছু ভাবতে হচ্চে না ?” বেণীপ্রসাদ সকলি বুৰিল, কিন্তু পত্নীর ব্যবহার তাহার অসহনীয় হইয়া উঠিয়াছিল, রামদুলীর গতরাত্রির প্রত্যেক বাক্য আজ এখনও পর্য্যন্ত তাহার অন্তরকে বিদ্ধ করিতেছিল। গৰ্ব্বিতা পত্নীকে কিঞ্চিৎ শিক্ষা দিবার বাসনা তাহার মনে প্রবল হইয়াছিল । ত্রিবেণীনারায়ণের অসম্মতি আজি তাহাকে সঙ্কল্পচু্যত করিতে পারিল না। ক্রমে বহু তর্ক বিতর্কের পর অবশেষে তাহার সম্মতি লইয়া কৰ্ম্মের জন্য আবেদনপত্র পাঠাইয়া কেণীপ্রসাদ কৰ্ম্মস্থলে যাইবার আয়োজনে ব্যাপৃত হইল। সপ্তাহ মধ্যে বেণীপ্রসাদ বিদেশে চাকরী করিতে যাইবে ইহা সকলেই জানিতে পারিল, একথা রামদুলারীরও কর্ণে গেল, কিন্তু সে কাহাকেও কিছু বলিল না, এবারকার কলহের কথা কাহারও কাছে প্রকাশ করিল না, কেবল আপন মনেই রাগে ও অভিমানে ফুলিতে লাগিল। বেণী >\»o