পাতা:সতুর মা.djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীণার বিবাহ কিছুক্ষণ র্তাহার স্বর্ণপ্রঙিম বীণাপাণির মুখখানি দেখিয়া সস্নেহে চুম্বন করিলেন। অশ্রধারা গণ্ড বহিয়া মাটীতে পড়িল । বীণা অভিমানের স্বরে বলিল—“ম আবার ” সজল চক্ষে মুছ হাসিয়া প্রভা বলিলেন—“নাম, আর না। তুই কাছে আরো সরে আয় বীণ, একবার প্রাপ্ত ভরে তোকে দেখি ।” বিবাহ বাড়ীতে নহবৎ বড় মধুর বাজিতেছিল, পূর্ণিমার চাদ চারিদিকে জ্যোৎস্না ছড়াইয়া হাসিতেছিল ; সেই জ্যোৎস্নারাশির মাঝে মায়ের মুখপানে চাহিয়া বীণা বসিয়া अश्लि । “আর পারিনা বীণা, আলোটা নিবিয়ে দে” বলিয়া দারুণ বক্ষ বেদনা অসহ্য হওয়ায় প্রভা অবসন্নভাবে শয্যা গ্রহণ করিলেন । বীণা ভীত ও ব্যথিত চিত্তে বলিয়া উঠিল —“ওকি মা অমন কচ্চ কেন ? তোমার কি বড় বেশী কষ্ট হচ্চে ?” প্রভা বলিলেন “কষ্ট কি মা ! আমার কষ্টের শীঘ্রই অবসান হবে।” এমন সময়ে বাহিরে কিসের কোলাহল শুনা গেল। বরের বাপের তর্জন, চৌধুরী মহাশয়ের অনুনয় অগ্রাহ্য করিয়া বরবেশী কান্তিচন্দ্র হিমাংশুনাথের বাড়ীর দিকে অগ্রসর হইতেছিলেন। বরকে নিজেদের বাড়ীতে আসিতে দেখিয়া হিমাংশুনাথের পুরস্ত্রীগণ २०७