পাতা:সতুর মা.djvu/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সতুর মা আপিষের ভাত না দিতে পাল্পে জবাৰ ত আমাকেই দিতে হবে ?” আপনার মনে গজ গজ করিতে করিতে ক্ষিপ্রহস্তে বামুনঠাকরুণ আলু কপি কুটিতে লাগিলেন। নবদুর্গার কানে গেল কৰ্ত্তবাবু বলিতেছেন—“অসুখ কি বড় শক্ত বোধ হল ? " একদিনেই এতটা বেড়ে গেল !” ডাক্তার বাবু বলিলেন—“একদিন, একদিন ত বেশী সময়, এক বেলায় রোগ বেড়ে যায়! যাহোক ভাববেন না, অষুধ দুটো শীঘ্ৰ আনিয়ে নিন আর যেমন যেমন বলে গেলুম ঠিক ঠিক করতে বলবেন ওবেলা আবার আমি দেখে যাব।” তারপর দুজনের পদশব্দ শুনা গেল। নবদুর্গা বুঝিল । বাহিরের দিকের সিড়া দিয়া ডাক্তারের সঙ্গে কৰ্ত্তবাবু নীচে নামিয়া গেলেন। চারিদিক নিস্তব্ধ আর কোন সাড়া শব্দ নবদুর্গার কানে গেলনা, কেবল রান্নাঘরের ভিতর হইতে কর্কশ কণ্ঠে বামুনঠাকরুণ বলিয়া উঠিলেন—“কিগে আকাট হয়ে দাড়িয়ে রইলে কেন ? হাত কি কারও কাটে •ন ? একটুখানি আঙুল কেটেচে বলে কাজ কৰ্ম্ম ছেড়ে সত্যিই বসে থাকবে নাকি ?” তাড়াতাড়ি কড়াইশুটিগুলো ছাড়াইয়া দিতে বলিয়া নবদুর্গার প্রতি বিরক্তিপ্রকাশ করিতে করিতে বামুনঠাকুরুণ আবার রান্নাঘরে প্রবেশ করিলেন। 3 సె