পাতা:সতুর মা.djvu/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সতুর মা বাছা ভাল ছিল গো, দেকতে দেকৃতে রোগটা হয়ে পড়ল ৷” নবদুর্গা উৎকৰ্ণ হইয়াছিল, দূর হইলেও কথাগুলা স্পষ্ট শুনিতে পাইল, তাহার মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল, দেহের সর্ববস্থানের রক্ত যেম বক্ষে আসিয়া জমাট বাধিল । হায় হায় ! ঠিক এমনি দিনে, কাল পৌষ মাসের ঠিক এমনি শীতে ঐ কাল নিউমনিয়া রোগই ত তাহার স্বামীকে লইয়াছে ! আবার, আবার সেই !—নবদুর্গার জিহবা ওষ্ঠ শুষ্ক হইল, নিশ্বাস রুদ্ধপ্রায় হইল। উদ্ধে দৃষ্টি করিয়া অস্পষ্ট জড়িতম্বরে নবদুর্গা ডাকিল—“ভগবান!” গৃহের বাহিরে আসিতেই মনে হইল, অন্ধকারে কে যেন সরিয়া গেল। পঙ্কজিনী বিন্দুকে ডাকিয়া বলিলেন— “বিন্দী ও বিন্দী ! দেখ, তো ওপরে কে এয়েচে, মনে হ'ল কে যেন সরে গেল ?” বিন্দুবাসিনীর নয়নে নিদ্রাদেবী তখন অচলা হইয়া বসিয়াtছন, পাচ সাত ডাকেও তাহার সাড়া মিলিল না, সে যেমন ছিল—বৃহৎ লেপের তলে তেমনি আপাদমস্তক আবৃত হইয়া পড়িয়া রহিল ; কত্রীঠাকুরাণীর ডাকাডাকি ঠেলাঠেলিতেও তাহার ঘুম ভাঙ্গিল না। নাসিকা-ধ্বনি না থাকিলে, সে জীবিত কি মৃত তাহাও বুঝি জানিবার উপায় ছিল না ! २२