পাতা:সতুর মা.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বেশ্বর দর্শনে বলিল,—“বিপদের সময় অত অধৈৰ্য্য হলে চলবে না খুড়ে মশায়, একটু শক্ত হয়ে খোজ-তল্লাস করে আইনকামুন দেখে বেটাদের হাত থেকে চিন্তাকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তার দোষ কি ? ছেলে মানুষ বোঝে লোৰে নি, পাঁচজনের কুহকে পড়ে একটা অন্যায় কাজ করে ফেলেছে। শুনেছি এখনো দীক্ষা হয়নি, জর্ডনের জল মাথায় পড়েনি, এখনো উদ্ধারের সময় আছে। দেশের লোক এখনো কিছু শোনেনি, কিছু জানাজানি হয় নি, কোনো গোল হবে না । এখন কোনো রকমে একবার এনে ফেলতে পারলে হয়, একবার তাকে হাতে পেলে আর ভায়ার ছাড়ান নেই। চিন্তার পিতা চুপ করিয়া শুনিতে লাগিলেন, উত্তর দিলেন না ; উত্তর-প্রত্যুত্তরের শক্তিও বোধ হয় তখন র্তাহার ছিল না, তিনি তখন কেবল সংশয়ের সহিত ভাবিতেছিলেন, “অ্যা চিন্তা, আমার সেই চিন্তা ! বুকের রক্ত দিয়ে এত কাল যাকে মানুষ করে এলুম, আজ তারই এই কাজ ! এত শিক্ষার শেষে এই ফল হল ।” © মধু সর্দার আবার আপন মনে বলিল—“দোষ নেই খুড়োমশায়, চিন্তার কোনো দোষ নেই, ওরা কি যাদু জানে, বুড়ো-বুড়ো লোকগুলোর মাথা ঘুরিয়ে দেয়, আর চিন্তা তো আমাদের এই সেদিনকার ছেলে, কলেজে brt